ঐতিহ্যবাহী বন্দরনগরী সুপ্রসিদ্ধ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ভৈরব বাজারের দানশীল ব্যক্তি হাজী আসমত আলী বেপারী ১৯৪৭ সালে ভৈরবে প্রতিষ্ঠা করেন হাজী আসমত কলেজ। প্রতিষ্ঠার পর কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত ছিল। ভৈরব সহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ হচ্ছে এ কলেজটি। কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ অত্রাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘকালের দাবী ছিল হাজী আসমত কলেজকে সরকারি করণের গত ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পত্র সংখ্যা ০৩৩৭০০০০০৭৪৪৮০০৭২০-১২২ এ পরিচালক- ৭ (প্রতিকল্প) মোহাম্মদ রফিকুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। গতকাল এ পত্র ভৈরবে পৌঁছার পর সর্বস্তরের জনগণসহ অত্রাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা আনন্দে উচ্ছাসিত হয়। কলেজের উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত মুহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় মামনীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন সাহেবের ঐকান্তিক চেষ্টায় কলেজ সরকারি হওয়ায় শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এমপি মহোদয়কে নিরন্তর অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি আরো বলেন, ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন এ বিদ্যাপীঠ প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। ৪২ বিঘা জমিতে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত। ২০০৫ সালে এ কলেজে অনার্স বিভাগ চালু হয়। বর্তমানে ৭টি বিষয়ে অনার্স ক্লাস চালু রয়েছে। কিন্তু হোস্টেল এবং নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা চালু না থাকায় দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। ৩ তলা বিশিষ্ট আইসিটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কম্পিউটার ল্যাব না থাকায় তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে তিনি সরকারি করণের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানান। কলেজ প্রতিষ্ঠার পৌহিত্র এবং কলেজ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভৈরব পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ইফতেখার হোসেন বেনু বলেন, অত্রাঞ্চল বাসীর দীর্ঘকালের দাবী পূরণ হওয়ায় আমাদের পরিবার এবং ভৈরববাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সায়দুল্লাহ মিয়া বলেন, শিক্ষা বিস্তারে এ সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। কলেজের দাতা সদস্য এবং ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিরসভাপতি রোটারিয়ান আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ুন কবির সাংসদ আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন সাহেবকে সরকারি সিদ্ধান্তের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিনের আকাঙ্খিত সিদ্ধান্তের প্রতি সাধুবাদ জানাই। বর্তমানে কলেজটিতে এমপিওভূক্ত ৩১ জন সহ ৪২ জন শিক্ষক এবং ১৪ জন কর্মচারী রয়েছেন।