জন্মের পর থেকেই পিতৃ পরিচয় না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় মুক্তা আক্তার। একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের শরণাপন্ন হলেও এ পর্যন্ত কোন ধরনের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। রোববার (২৭ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে পিতৃ পরিচয় ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেন অসহায় মুক্তা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি মুক্তা আক্তার(১৮), পিতা: নিজাম উদ্দিন, সাং আগসাভার, পো: আগসাভার, ইউনিয়ন: বরাইদ, উপজেলা: সাটুরিয়া, জেলা: মানিকগঞ্জ। আমি মোঃ নিজাম উদ্দিনের উরশে মা শিউলি আক্তারের গর্ভে জন্মগ্রহণ করি। আমার জন্মের ৬ মাস পরেই আমার পিতা নিজাম উদ্দিন আমার মা শিউলি আক্তারকে তালাক প্রদান করেন। এরপর থেইে আমার জন্মদাতা পিতা নিজাম উদ্দিন আমাকে স্নেহ মমতা থেকে বঞ্চিত করে পিতৃ পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে আমার মা শিউলি আক্তারের অন্যত্র বিয়ে হয়। শিশুকাল থেকেই বাবা-মা না আমার পিতা নিজাম উদ্দিন আমাকে সন্তানের স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করায় আমি শিশুকাল থেকেই পিতৃ স্নেহ, লেখাপড়া, সমাজে অন্যান্য মানুষের মত স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বঞ্চিত হয়েছি। পিতৃ পরিচয় না থাকার ফলে অর্থাভাবে আমি চতুর্থ শ্রেণীর বেশি লেখাপড়া করতে পারিনি। সমাজে নানা গঞ্জনা আর অবহেলার মধ্য দিয়ে আমার শিশুকাল ও কৈশর কেটেছে। তিনি আরোও অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার পিতৃ পরিচয়ের দাবি নিয়ে পিতা নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে একাধিকবার গেলে আমার সৎমা, দাদি ও আমার পিতা আমাকে অস্বীকার করে বার বার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ বিষয় নিয়ে আমি একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের শরণাপন্ন হলেও কোন ন্যায় বিচার পাইনি। এখন আমার বয়স আঠার বছর। এখন আমি সমাজের মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে পারি। এ কারণেই আমি আমার পিতৃ পরিচয় ফিরে পেতে আমার পিতার দ্বারস্থ হয়েও আমার পিতার কাছে সন্তানের অধিকার ফিরে পাইনি। সর্বশেষ গত মাসের ৩০ তারিখে পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে আমার পিতার বাড়িতে গেলে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় আমি সমাজে ঘৃণিত অবস্থায় অসহায় জীবনযাপন করছি। পিতৃ পরিচয় ফিরে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী মুক্তা আক্তারের মা শিউলি আক্তার, মামা শহিদুল ইসলাম ও মুক্তার পিতা নিজামের আপন মামা ও মা শিউলি আক্তারের আপন চাচা মোঃ হারেজ মিয়া প্রমুখ।