দেশের খেলা ফেলে সাকিব আল হাসানের আইপিএলে যাওয়া নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়েছিল দেশের ক্রিকেটে। সাকিব যাওয়ায় মুস্তাফিজকেও অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু তখনই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, নতুন চুক্তিতে দেশের খেলাকে যারা প্রাধান্য দেবে তাদেরকে রাখা হবে। সেই নতুন চুক্তিপত্রের শর্ত মেনে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নাকি সবার আগে দেশের ক্রিকেটকেই বেছে নিয়েছেন। এই তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান আকরাম খান।
আগামী ৩০ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত হবে এলপিএলের দ্বিতীয় আসর। এই আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম দিয়েছেন বাংলাদেশের সাত ক্রিকেটার। ওই সময় আবার বাংলাদেশে আসবে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকবাজকে আকরাম বলেন, ‘এলপিএলের শুরুতে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা থাকতে পারবে না। কারণ তখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের সিরিজ রয়েছে। আমাদের আরও সম্ভাব্য সিরিজ আছে। তবে মাঝে কিছু ফাঁকা সময় আছে। তারা ওই সময়ে গিয়ে এলপিএল খেলতে পারবে।’
সাকিবের ঘটনার পর বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, কে কোন ফরম্যাটে খেলবে, সেটা বিবেচনায় কেন্দ্রীয় চুক্তি হবে। কারণ গুজব ছড়িয়েছিল, সাকিব নাকি টেস্ট খেলতে চান না। এবার আকরাম জানালেন, সবাই নাকি তিন ফরম্যাটে খেলতে রাজি। তিনি বলেন, ‘সব ক্রিকেটারই তিন ফরম্যাটে খেলার জন্য প্রস্তুত। তারা জানিয়েছে, জাতীয় দলের দায়িত্বই তাদের প্রথম প্রাধান্য। তারা জানিয়েছে, তারা যদি সুযোগ পায় এবং এলপিএলে খেলার সময় থাকে তাহলে সেখানে খেলবে। তবে সেটা জাতীয় দলের খেলা বাদ দেয়ার বিনিময়ে নয়।’