চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় দিনে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে গ্রাহকরা। জানা যায়- সারাদেশে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে ঘরেই বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন মানুষ। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার গ্রাহকেরা। আকাশে মেঘ জমলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। কখন বিদ্যুৎ আসবে সে খবর নিয়েও অফিসের কর্তাব্যক্তিদের চলে লুকোচুরি খেলা। উপজেলার প্রায় প্রতিটা ইউনিয়নেই দিনে প্রায় ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা থাকে না বিদ্যুৎ। অফিস কর্তাদের ফোন করলে কেউ বলেন অপেক্ষা করুন, কেউবা বলেন গ্রিট বন্ধ আবার কেউ বলেন মেইন লাইন নেই। কেউ বলেন সাব-স্টেশনে কাজ চলছে একটু পরেই পাবেন। দুলর্ভপুর বাজার এলাকার হাবিব বলেন, ‘দিনে প্রায় ৭ ঘণ্টা থাকে না বিদ্যুৎ। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। আষাঢ়ের ভ্যাপসা গরমে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনমনে চরম অসস্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে রাতে বিদ্যুৎ থাকে না। রাতে ঘুমাতে পারি না।’ শ্যামপুর এলাকার হাসেম আলি বলেন, ‘একদিনে ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় নষ্ট হচ্ছে টেলিভিশন, ফ্যান ও ফ্রিজসহ ঘরের মূল্যবান ইলেকট্রনিক্স মালামাল। নিদারুণ কষ্ট সহ্য করে হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছেন রোগীরা। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে না। অফিস-আদালতের নিত্যনৈমিত্তিক কাজে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মিল-কারখানায়ও সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরণের জটিলতা। ব্যবসায়ীরা চরম লোকসানের মুখে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বছরের শুরুতে বিদ্যুতের খাম্বা ও তার পরিবর্তন করা হলেও আশানুরূপ কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়।’ এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কানসাট শাখার জেনারেল ম্যানেজার ফখর উদ্দিন জানান, ‘সারা বছরের কাজ প্রতি বছরের মে, জুন ও জুলাই মাসে সম্পন্ন করা হয়। এ জন্য গত সপ্তাহে লোডশেডিং একটু বেশি হয়েছে। তবে আগামী এক সপ্তাহ পর এমন সমস্যা হবে না বলে আশ^াস দেন।’