করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) চলমান সংক্রমণের কারণে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নি¤œআয়ের মানুষের সহায়তায় আরও পাঁচটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্যাকেজে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঘোষিত প্রণোদনার মধ্যে প্রথম প্যাকেজের আওতায় ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন দিনমজুর, দুই লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ হাজার ৪৪৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং এক হাজার ৬০৩ জন নৌ-পরিবহন শ্রমিক মিলিয়ে মোট ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন উপকারভোগী নগদ আড়াই হাজার টাকা করে ৪৫০ কোটি টাকা সহায়তা পাবেন। দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় শহর এলাকায় নি¤œআয়ের জনসাধারণকে সহায়তার লক্ষ্যে আগামী ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন সারাদেশের ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করবে সরকার। এজন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ১৪ হাজার মেট্রিক টন আটার জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে। তৃতীয় প্যাকেজের আওতায় ‘৩৩৩’ নম্বরে জনসাধারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ থাকছে।
চতুর্থ প্যাকেজের আওতায় গ্রামীণ এলাকায় কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পি কে এস এফ-এর মাধ্যমে চার শতাংশ সুদে ঋণ সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে। এর আগে এ খাতে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। পঞ্চম প্যাকেজের আওতায় পর্যটন খাতের হোটেল/মোটেল/থিম পার্কের জন্য কর্মচারীদের বেতন/ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে চার শতাংশ সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সহায়তা দিতে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে। গত বছরের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে দফায় দফায় চলছে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন। এসব বিধিনিষেধের ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নি¤œআয়ের মানুষ। তাদের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা সময়ে সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার এ তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষিত হলো।