গজারিয়ায় ভিজিএফ প্রকল্পের ১৮শত কেজি চাল আতœসাৎ এর সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করেছে ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃসাঈদ মোহাম্মদ লিটন। শনিবার উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের সভা কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সভার শুরুতে ইউঃপিঃসচিব মোঃমোকারম হোসেন জানান,গত বৃহস্পতিবার একটি পত্রিকাসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া ১৮শত কেজি চাল আত্মসাত এর বিষয়টি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট, আমরা স্থানীয় সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের উপস্থিতিতে ভিজিএফ প্রকল্পের চাল বিতরন করেছি। ইঞ্জিঃসাঈদ মোহাম্মদ লিটন বলেন, প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। উপকারভোগীদের মধ্যে গড়ে তিন কেজি করে চাল কম দিয়ে আঠারো’শ কেজি চাল নাকি আত্মসাৎ করা হয়েছে যা একেবারেই মিথ্যা। তিনি বলেন, তার ইউনিয়নে উপকারভোগীর সংখ্যা ১১৯৫জন।এখনো পর্যন্ত ৬০০জন উপকারভোগীর মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে, তাদের বিতরণ করা চালে প্রত্যেক উপকারভোগী ১০কেজি করে চাল পেয়েছেন এখানে এক মুঠো চাল কেউ কম পেয়েছেন এ কথা বলার সুযোগ নেই,দু’একজন চাল কম পেয়েছে এই মর্মে কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যেটা একটা ষড়যন্ত্র। বিশেষ একটি মহল আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। ভবেরচর ০৫নং ওর্য়াড ইউ.পি সদস্য মামুন মেম্বার বলেন চলমান করোনা পরিস্থিতির কারনে আমার এলাকায় তালিকা ভুক্তদের মাঝে ঘরে ঘরে চাল পৌছে দিয়েছি এবং সেই তালিকা আমি সকলের নিকট জনসম্মুখে প্রকাশ করেছি। এ বিষয় নিয়ে যেই প্রতিবেদন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রনোদিত, অসত্য, মিথ্যাচার ও বানোয়াট। আরেক ইউ.পি সদস্য জাহাঙ্গীর মেম্বার বলেন ভি.জি.এফ চাহিদার তুলনায় কার্ড প্রাপ্তি না হওয়াতে আমার এলাকায় আরো অনেকেই কার্ড পাওয়ার যোগ্য। চাল বিতরন কালে তারা পরিষদে উপস্থিত হয় এবং মানবিক কারনে তাদের পরিষদের পক্ষ হতে ভর্তুকি স্বরূপ সহযোগিতা করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোঃ মামুন শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম, ফারুক হোসেন প্রমুখ।