ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার কান্ডারী পরাজিত হওয়ার পরও বর্তমান চেয়ারম্যান একটা চমৎকার নজির স্থাপন তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায় সদ্য শেষ হওয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। স্থানীয় নির্বাচনে নৌকার কান্ডারী শুভ্রত ঠাকুর বিপুল ভোটে পরাজিত হয় সতন্ত্র প্রার্থী চশমার প্রতিক নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারের কাছে। গত কয়েক বছরের চেয়ারম্যান শুভ্রত ঠাকুরের উপর সাধারণ ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।গুয়ারেখা ইউনিয়নে সাধারণ ভোটাররা শুভ্রত ঠাকুরের বিপক্ষে অবস্থান নিতে কুন্ঠা বোধ করেননি। নৌকা নয় বরং যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে জনমত তৈরী করতে সদা প্রস্তুত ছিল গুয়ারেখা ইউনিয়নবাসীরা। আর সেই আলোকে স্থানীয় রাজনীতির মাঠে নির্বাচনী বৈরিতা সৃষ্টি হয় নেতা কর্মীদের মাঝে। নৌকা বনাম চশমার প্রতিকের মধ্যে নির্বাচনী প্রতিহিংসা গুয়ারেখা ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে কমবেশি।গত ২১ জুনের নির্বাচনে স্থানীয় ভোটাররা সুস্থ মাথায় প্রতিক নয় বরং যোগ্য প্রার্থী হিসেবে চশমার প্রতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারকে ঠান্ডা মাথায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে।আর সেই কারণে পরাজয়ের রেশ কমবেশী পরাজিত প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে পড়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ের আলোচিত সমাজ সেবক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ রব সিকদার ব্যাতিক্রমী নেতা হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। বয়সে প্রবীণ হলেও সামাজিক ভাবে চিন্তা চেতনায় বিগত সময়ের সকল চেয়ারম্যানদের হারিয়ে দিয়েছে সুকৌশলে। মাথা ঠান্ডা রেখে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে নেতা কর্মীদের শান্ত রাখার পাশাপাশি নিজেকে অতি উচ্চ মাত্রায় মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছে নির্বাচনী পরবর্তী সময়ে। চশমার প্রতিক নিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সমগ্র গুয়ারেখা ইউনিয়নে নৌকার কান্ডারীকে পরাজিত করার পর লাইম লাইটে চলে এসেছে। গ্রামের মধ্যে একটা বিষয়ে বেশী আলোচনা হচ্ছে নৌকার কান্ডারী হেভিওয়েট প্রার্থী বহু বছরের পুরনো চেয়ারম্যান শুভ্রত ঠাকুরকে পরাজিত করার নেপথ্যের কারিশমা গুলো। সততা ও আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে নেতা কর্মীদের মাঝে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছে নিজস্ব চিন্তা ভাবনা দিয়ে। এদিকে শপথ গ্রহণ করার পর থেকেই বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার নিজেকে সুকৌশলে নিয়ন্ত্রণ করে প্রথম দিনেই চমক সৃষ্টি করে হৈচৈ ফেলে দেয়। নির্বাচনে হারজিত সহ রাগ দুঃখ ও কর্মীদের চাপা ক্ষোভকে বিসর্জ্জন দিয়ে অতি অল্প সময়ের মধ্যে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান বাবু শুভ্রত ঠাকুরকে ইউনিয়ন পরিষদের মসনদে বসার আগেই সবার আগে আপন করে নেয় সাবেক চেয়ারম্যান বাবু শুভ্রত ঠাকুরকে। একান্ত আপন করে নিতে ভুল করেনি বরং সকলের সামনে বসে মিস্টি খাইয়ে দেয় সাবেক চেয়ারম্যানকে। সচারাচর গুয়ারেখা ইউনিয়নের স্থানীয় রাজনীতির মাঠে এজাতীয় ঘটনা আগে কেহ দেখেনি। কিন্তু প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বর্তমান সময়ের আলোচিত সমাজ সেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার একটা চমৎকার পরিবেশ তৈরি করলো নুতন প্রজন্মের জন্য। এ ব্যাপারে গুয়ারেখা ইউনিয়নের সাবেক বহু চেয়ারম্যান গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান রব সিকদার একটা নজির স্থাপন তৈরী করলো। বিগত সময়ে এত চমৎকার পরিবেশ তৈরি করে কেহ আন্তরিকতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। সত্যিই বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার একটা নজির স্থাপন করলো। তবে ভিন্ন কথা বলেন বহু শীর্ষ হিন্দু নেতারা,তারা অকপটে বলেন আসলে এরকম পরিবেশ হওয়া দরকার। অতীতের কষ্ট সহ সকল রাগ ক্ষোভ ভুলে গিয়ে ইউনিয়নের কল্যানে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত। এ ব্যাপারে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান বাবু শুভ্রত ঠাকুর গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি সব সময় এলাকার স্বার্থে কাজ করে যাবো। আমি সব সময় বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাবো। এদিকে এলাকার বর্তমান মেম্বাররা অকপটে বলেন আমাদের বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদার একটা নজির স্থাপন করলো। বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়নের মসনদে বসার আগেই অতি আপন করে নেয় সাবেক চেয়ারম্যান বাবু শুভ্রত ঠাকুরকে। এব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ রব সিকদার গণ মাধ্যম কর্মী দের বলেন, আমি সকলের আর্শীবাদ নিয়ে আজকের গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। আমি সকলের সুনজরে থাকতে চাই। আমি সকলকে সাথে নিয়ে উন্নয়ন করতে চাই। অতীতের সমালোচনা না করে আমি আমার ইউনিয়নকে একটা রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আমি একজন খাদেম হিসেবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর। মানবতার কল্যানে আমি নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই সব সময়। সকল শীর্ষ নেতাদের সাথে আলোচনা করে গুয়ারেখা ইউনিয়নের অবহেলিত রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন করবো। আপনারা সকলেই দোয়া করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখবো সকলের আর্শীবাদ নিয়ে।