করোনার প্রকোপ সারা দেশের ন্যায় বরিশালেও বেড়েই চলছে। সরকার নির্দেশিত লকডাউন ধাপে ধাপে চলমান। মানুষের জীবন যাপন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ গুলো। প্রতিদিনেই অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রতিটি জনসাধারনের দেখা দিচ্ছে খাদ্য সংকটে রয়েছে তারা। এমন অবস্থায় কে রাখবে কার খোঁজ অন্যদিকে নিরামিষভোজী বন্য প্রাণী (বানর) এখন প্রশ্নের মুখে? লকডাউনের কারনে উজিরপুর উপজেলার দোকানপাট বন্ধ থাকায় চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে প্রায় দুই সহ¯্রাধিক বানর। উজিরপুরে সকাল কিংবা বিকালে হাটতে বের হলেই চোখে পড়বে উজিরপুরের বিখ্যাত বানর। করোনাভাইরাস আতঙ্কে শূন্য বাজারে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখলেই খাবারের আশায় ক্ষুধার্ত বানরগুলো নির্বাক চোখে তাকিয়ে থাকে। একসময় বিভিন্ন দোকান থেকে তাদের চাহিদামত খাবারের ব্যবস্থা করতে হতো-অন্যথায় বানরের অত্যাচার বেড়ে যেত দুষ্টুমি আর অদ্ভুত সব কর্মকান্ডের জন্য সবার কাছে অতি পরিচিত, উজিরপুর পৌরসভায় দীর্ঘ দিন থেকে বাস করা দুইশত বানর কখন কোথায় দেখা যাবে বলা অদ্ভুত। উজিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় বানর দলবেঁধে চলাচল করে। কখনো নদীর ধারে, আবার কখনো দোকানের টিনের চালে, আবার কখন উচু ভবনের ছাদে এদের দেখা মেলে। শহর থেকে ও দেখতে আসে এই বানর দের। তার মধ্যে অনেকেই খাবার দিতে ও দেখা মিলেছে অনেক আগে, সময় অনুপযোগীর কারনে এই বানর গুলো এখন পড়েছে খাদ্য সংকটে। বুদ্ধিমান হিসেবে বানর খুব পরিচিত। এরা নিরামিষভোজী হলেও বাসস্থান বা খাবারে বেশ বৈচিত্র আছে। বিভিন্ন গাছ এর ফল, শুকনো খাবার মানুষের দেওয়া খাবার খেয়েই জীবন রক্ষা করে আসছে। বেশ কিছু দিন আগে বেশ অভিযোগ ও শুনেছি বানরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। বানর কখনো বাড়ির তাড়া খেয়ে বের হয়ে পড়ে রাস্তায়, রাস্তায় বের হলেই দেখা যেত কিছু দয়ালুবান ব্যক্তিরা বানরদের খাবার দিতে এগিয়ে আসতো। স্থানীয় লোকজন দোকান থেকে রাস্তার রুটি কিংবা, বিভিন্ন দোকানের খাবার দিত। বর্তমান লগডাউনে ঘুরতে বের হয়ে চোখে পড়ে -লগডাউনে মানুষ ঘর থেকে দিনে না বের হওয়ার কারনে বাড়িতে কিংবা রাস্তার আশে পাশে ও বানরদের খাবার সংকট। দিনের পর দিন অনাহারে কাটাচ্ছে এই বানরগুলো। যার ফলে বানরগুলো হিংসা হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণ বলেন বন্য প্রাণী বানর গুলো খাদ্যের সন্ধানে বন্ধ দোকানের কাছাকাছি এসে বসে থাকতে দেখা যায়। যদি কেউ খাদ্য দিয়ে সহায়তা করে এ আশায়। নিরামিষভোজী বানরের জন্য সরকারী ভাবে নাই কোন খাদ্য বরাদ্দ। অন্যদিকে স্থানীয় বসত বাড়ি কিংবা দোকানপাট ব্যাবসায়ীরা বানরের খাবারের জোগান দিয়ে আসছে বছরের পর বছর।