রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন

ডা. ঈশিতা ও তার সহযোগী ৬ দিনের রিমান্ডে

সাদেক মাহমুদ পাভেল:
  • আপডেট সময় সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার ডা. ইশরাত রফিক ঈশিতা ও তার সহযোগী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলায় ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার (২ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন শাহ আলী থানার দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম চৌধুরী ও সাব ইন্সপেক্টর মাসুদ রানা আসামিদের আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় তিনদিন করে মোট ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রবিবার (১ আগস্ট) সকালে মিরপুর-১ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডা. ঈশিতা ও তার সহযোগী শহিদুল ইসলাম দিদারকে গ্রেফতার করে র‌্যাব ৪। অভিযানে তার বাসা থেকে ভুয়া আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, সিল, সনদ ও প্রত্যয়নপত্র উদ্ধার করে জব্দ করে র‌্যাব। এসময় পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, ইয়াবা, বিদেশি মদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদের দুটি ইউনিফর্ম, র‌্যাংক ব্যাচও উদ্ধার করে র‌্যাব। তাদের বিরুদ্ধে শাহ আলী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
তাকে গ্রেফতারের পর র‌্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন জানান, ঈশিতা পেশায় চিকিৎসক। তিনি ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ২০১৩ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। ২০১৪ সালের প্রথম দিকে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। এরপর একটি সরকারি হাসপাতালে চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করেন। তবে ৪ মাস পর অনৈতিক কাজ করার অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
র‌্যাব জানায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদ, ইন্টারন্যাশনাল ইন্সপিরেশনাল ওমেন অ্যাওয়ার্ড, বছরের সেরা নারী বিজ্ঞানী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রিসার্চ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, ভারতের টেস্ট জেম অ্যাওয়ার্ড, থাইল্যান্ডের আউটস্ট্যান্ডিং সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড রিসার্চার অ্যাওয়ার্ডসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন বলে প্রচার করতেন চিকিৎসক ইশরাত রফিক ঈশিতা (৩৪)। কিন্তু এর সবই ভুয়া। তিনি কোনও পুরস্কার অর্জন করেননি। সব সনদ নিজেই তৈরি করেছেন। মূলত প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ ও খ্যাতি অর্জনের জন্যই এসব করেছেন তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com