জামালপুরের ইসলামপুরে পানির অভাবে বিপাকে পড়েছে পাট চাষীরা। কৃষকদের পাট জাগ দিতে পারছে না। বিপাকে পড়েছেন ১৮ হাজার পাটচাষীরা। বিগত বছরগুলোতে পাটের দাম নিয়ে যেমন কৃষক হতাশায় পড়ে এবার তার বিপরীতে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারছেনা কৃষকরা। জানাগেছে, উপজেলার চলতি মৌসুমে ২০২১ সালে দেশী ৪৭৫, তোষা ৯৯২৫, কেনাফ ১০৫, মেস্তা ৩৫ হেক্টরসহ মোট ১০ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছে কৃষকরা। এবার সময় মতো বন্যা ও বৃষ্টি না হওয়ায় খাল, বিল ও নদীতে পানি না থাকায় কৃষকরা কাঁচা পাট কাটতে পারছে না। এ দিকে আবাদী কাঁচা পাটের বয়স বেশি হওয়ায় ক্ষেতে পাট মরে যা”েছ। কৃষকের অর্জিত পাট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হ”েছ। মোহাম্মদপুর গ্রামের প্রান্তিক চাষী বিপুল মিয়া জানান- আমার ক্ষেতে পাট মরে যা”েছ। ১০-১৫ দিন আগে পাট কাটতে পারলে পাটগুলি মরত না। এখন পাটের ফলন কম হবে। এবার কোথায় যে পাট জাগ দিব বুঝে পারছি না। সভুকুড়া গ্রামের আঃ ছালাম, আঃ রশিদ ও মতি জানান, পানি না থাকায় আমাদের জমি খনন করে বৃষ্টির পানি ও স্যালো মেশিন চালিয়ে পানি আটকিয়ে পাট জাগের বিকল্প ব্যব¯’া নিয়ে পাটের আশ ছাড়া”িছ। অল্প গোলাটে পানিতে পাটের রং ভালো হয় না। ফলে বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এল.এম রেজুয়ান জানান- অন্যান্য পাট মৌসুমের তুলনায় এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। পাটের বাজারও ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হ”েছ। ইসলামপুরে বেশ কয়টি ইটভাটা রয়েছে। ইট বানানোর জন্য মাটির উপরের অংশ কেটে ইটভাটার সিন্ডিকেটরা নিয়ে যায়। ফলে ইট ভাটার আশপাশের পাটের ফলন অন্যান্য এলাকা থেকে অনেকাংশে কম হয়। এবার উপজেলায় ১০৫৪০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। ৭ আগষ্ট পর্যন্ত ৪৭৫০ হেক্টর জমি থেকে পাট কর্তন করা হয়েছে।