জামালপুরের ইলেক্ট্রিশিয়ান রাজু আহাম্মেদ কৃষককে রোদের তাপ থেকে বাঁচাতে ও আরামদায়ক বাতাস দিতে তৈরি করেছে সোলার ফ্যান। এ সোলার ফ্যান রোদে মাঠে কাজ করা কৃষকের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে। ইলেক্ট্রিশিয়ান রাজু আহাম্মেদ জানান, একদিন দোকানের কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। পরে নদীর পাড়ে বাতাস খেতে যাই, হঠাৎ করে দেখি মাঠে কাজ করতে গিয়ে একটি কৃষক মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরে দৌড়ে গিয়ে তাকে মাথায় পানি দেয়ে সুস্থ করি। সুস্থ হওয়ার পর সে বলে অতিরিক্ত রোদে আর গরমে মাথা ঘুরে পড়ে গেছিলাম। তখন থেকে কৃষক দের জন্য কিছু করার আগ্রহ থেকে দীর্ঘ নয় মাসের চেষ্টায় সোলার ফ্যানটি তৈরি করি।তিনি বলেন, সোলার ফ্যানটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি ২০ ওয়াটের সোলার প্যানেল, সামনে ও পিছনে ৫ ওয়াটের ২টি কম্পিউটার কুলিং ফ্যান। কলিং ফ্যানে মটর দুটি মুটিফাই করে সোলার প্যানেলে চলার উপযোগী করা হয়। সূর্যের তাপে সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে চলবে কুলিং ফ্যান দুটি। এছাড়াও ফ্যানটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে এ্যালোমেনিয়াম পাতলা পাইপ ও কোমরের সাথে বেঁধে রাখার জন্য একটি বেল্ট। মুলত আমি কৃষকের কষ্টের কথা চিন্তা করে সোলার ফ্যানটি তৈরি করেছি। এই সোলার ফ্যানটি ব্যবহারে কৃষকের মাথায় বাতাস যোগাবে। সে বাতাস কৃষকের ক্লান্তি দূর করবে। আর মাথার উপরে থাকা সোলার প্যানেল কৃষককে রোদের তাপ থেকে রক্ষা করবে। যার ফলে প্রচন্ড রোদে মাঠে কাজ করতে কৃষকের আর কোনো ক্লান্তি আসবে না। এই ফ্যানটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১২শ থেকে ১৩শ টাকা। জামালপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল কাদির জানান, এটি নতুন একটি আইডিয়া। রাষ্ট্রীয় বা কোন এনজিও অথবা কোম্পানী সহযোগীতা করলে যন্ত্রটি কৃষি এবং শিল্প ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখবে।