দেশের গণতন্ত্র হত্যার জন্য সাবেক বিচারপতির এ বি এম খায়রুল হককে দায়ী করে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র হত্যার জন্য তার প্রকাশ্যে বিচার হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, একজন মানুষ খুন করলে তার ফাঁসি হয়, যাবজ্জীবন হয়। কেউ গণতন্ত্র হত্যা করলে, গণতন্ত্রকে কবরস্থ করলে তার কী শাস্তি হওয়া উচিত? সেই ব্যক্তি বিচারপতি খায়রুল হক। প্রকাশ্যে তার বিচার হওয়া উচিত। সে জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাকে আজীবন জেলখানায় দেখতে চাই। এখান থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বর্তমান প্রধান বিচারপতিরও বিচার হওয়া দরকার। আর কিছু না-ফাঁসি-টাসি চাই না। তাকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সবাই থুঁ থুঁ দিক।
গতকাল শনিবারসকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে ‘রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে পেশাজীবিদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বাংলাদেশ পেশাজীবি অধিকার পরিষদের কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পেশাজীবীদের উদ্দেশ্য জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পেশাজীবীদের আওয়াজ উঠাতে হবে। এই অনাচার-অত্যাচার আমরা আর সহ্য করব না। জীবনের শেষ ক্ষণে আছি, তা হলেও আমরা ভীত নই। আমরা আপনাদের সাথে আছি।
তিনি বলেন, দুই দিন আগে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কের জেনারেল ওসমানীর জন্মবার্ষিকী ছিল। আমরা এতটা নিমকহারাম যে একটা বড় দলও তার জন্মবার্ষিকী পালন করেনি। এমন কি মুক্তিযোদ্ধারও। এখনো কয়েক শ’ সিনিয়র মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছেন তারাও করেন নাই। এতে প্রমাণ করে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। আরেকজন সিনিয়র মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ অসুস্থ হয়েছেন। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। উনি যেনো সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, মোদিবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতারকৃত ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫৪ জন ছাত্রের জামিনের ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি সাথে দেখা করতে চেয়েছিলাম। তিনি বলে পাঠালেন ‘বিচারের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারি না।’ পরীমনির ব্যাপারে কী হলো? তার বিচার দ্রুত করতে বলা হলো। এখনো পর্যন্ত ছাত্রদের জামিন দেয় নাই। এই ধরনের বিচারপতিরা জঘন্য ব্যক্তি। প্রত্যেকটা বিচারপতির সম্পদের হিসাব চাই আমরা। আমাদের পরিবর্তন দরকার। বিচার বিভাগ ঠিক না হলে সুশাসন আসবে না। এ সময় বাংলা ভাষায় রায় লেখায় দুই বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান তিনি।
পেশাজীবী অধিকার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বেলালীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.আসিফ নজরুল, ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ব্যারিষ্টার শিহাব উদ্দিন, নবাব সিরাজ উদ্দৌলার উত্তরসূরি নবাব আব্বাসউদ্দৌলা, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান প্রমুখ।