স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে সংসদীয় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও জোরদার করতে হবে। তিনি ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অফ স্পিকার্স অফ পার্লামেন্টের ‘পার্লামেন্টস এন্ড গ্লোবাল গভার্নেন্স-দ্যা আনফিনিসড এজেন্ডা’ শীর্ষক আলোচনায় গত বুধবার রাতে এ কথা বলেন। ইন্টার-পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর উদ্যোগে এবং জাতিসঙ্ঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিগণ জনগণের কল্যাণে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখেন। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে আইনের শাসন, স্বচ্ছতা ও সুশাসন সমুন্নত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সংসদীয় কার্যক্রমকে গতিশীল ও জোরদার করতে হবে। বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদল বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন, রুমানা আলী এবং গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
স্পিকার বলেন, বিভিন্ন দেশের সংসদ সমূহের সমন্বয়ের মাধ্যমে বহুপাক্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন, অসমতা, লিঙ্গ বৈষম্য, গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দেশগুলোর মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সংসদীয় কূটনীতি ভূমিকা রাখছে এবং আইপিইউ ও জাতিসঙ্ঘ এক্ষেত্রে কাজ করছে। সংসদীয় কূটনীতি তথা আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বিরাজমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। আলোচনা অনুষ্ঠানে আর্মেনিয়া ন্যাশনাল এসেম্বলির চেয়ারম্যান এলেন সিমোনিয়ান, ভারতীয় লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা, বুরুন্ডির সিনেট স্পিকার ইমানুয়েল সিঞ্জোহাগেরা, মন্টেনিগ্রো সংসদের স্পিকার এলেস্কা বেসিস বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্পিকারগণ ও অন্যান্য স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।