ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম গ্রামীণ জনপদ। এবার নির্বাচনে একাধিক নতুন মুখ রয়েছেন আলোচনায়। প্রার্থীদের প্রচারণায় শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়াামীলীগের মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন বেশ জোরে শোরে। নির্বাচনে ভোটে লড়াইয়ের প্রস্তুতি অংশ হিসেবে মাঠে সরব হচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিভিন্ন হাটে-বাজারে, মোড়ে-মোড়ে চা স্টলে ক্রমেই জমে উঠছে নির্বাচনী আলাপ আলোচনা। নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নানান ধরণের সেবামূলক কাজ নিয়ে এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সব মিলে মাঠ জুড়ে ইউপি নির্বাচনী হাওয়া শুরু করেছে। এছড়াও ইউনিয়নে বর্তমান ও সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের ডিজিটাল প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রতিটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষদের চায়ের আড্ডার মূল প্রতিপাদ্য এখন এই নির্বাচন। সবাই পছন্দের সম্ভাব্য প্রার্থী বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করছে। যারা বর্তমানে জনপ্রতনিধি আছেন, আর ভবিষ্যতে যারা প্রতিনিধি হতে চান,তাদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে একটা বিষয়ে সবাই একমত সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন এমন ব্যক্তিকেই তারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান। সব মিলিয়ে উপজেলার সব এলাকায় হাওয়া লেগেছে নির্বাচনী পালে। যদিও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট দিন ঠিক হয়নি। আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে ইউপি নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষণার পর তারাকান্দা উপজেলার একাদিক নতুন মুখ, বর্তমান ও সাবেক কয়েক জন চেয়ারম্যান আওয়াামীলীগের মনোনয়ন ধৌরে রয়েছেন আলোচনায়। ১০ ইউেিত এবার মনোনয়ন আলোচনায় রয়েছেন এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম সরকার, শামছুল আলম, জিয়াউল হক জিয়া, মদন সিংহ রায়,রফিকুল ইসলাম সাঈদ, আব্দুল খালেক, আলতাফ হোসেন খন্দকার, এনায়েত কবীর, নাইমুর রহমান উজ্জল, খাদেমুল আলম শিশির। তারাকান্দা (১নং) ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নতুন মুখ হিসাবে আলোচনায় রয়েছেন খাদেমুল আলম শিশির, তার বাবা টানা ২বারে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। করোনায় আকস্মিক মৃত্যু বরণ করায় তার বাবার সমর্থকরা শিশিরকে নৌকা মনোনয়নে দেখতে চায়।শিশির তার বাবার জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে ধারনা তার সমর্থকদের। শিশির বাবার উন্নয়ন ধারা ধরে রাখতে চান। বানিহালা (২নং) ইউনিয়নে নতুন মুখ হিসাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন খন্দকার রয়েছেন আলোচনায়। তিনি আনন্দ মোহন কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তার বাবা মরহুম সুলতান হোসেন খন্দকার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। বাবার মত জনগণের সেবা করতে ইতিমধ্যে একাধিক রাস্তাঘাট মেরামত করে দিয়েছেন। তিনি নৌকার মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে বলে জানিয়েছেন তার কর্মী সমর্থকরা। কাকানী (৩নং) ইউনিয়নে নতুন মুখ হিসাবে নৌকার মনোনয়নে আলোচনা রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল খালেক। তিনি কয়েক বছর ধরে মাঠে গণসংযোগ করছেন ও নিজ অর্থায়নে রাস্তা মেরামত করে দিয়েছেন। তার বাবা লাল হোসেন তালুকদার, ভাষাসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম শামছুল হক এর ঘনিষ্ট সহচর ও আ:লীগের নিবেদিত কর্মী ছিলেন। খালেক এবার মনোনয়ন পেলে নৌকার প্রার্থী এখানে নিশ্চিত বিজয় লাভ করবে তার কর্মী সমর্থকদের ধারনা। গালাগাঁও (৪নং) ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া নৌকার মনোনয়নে রয়েছেন ব্যাপক আলোচনায়। ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে আলাপ আলোচনা করে জানা যায়, তিনি দৃশ্যমান একাধিক উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্রনেতা ও ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম শামছুল হক এর হাতেগড়া কর্মী, জিয়াউল হক জিয়াকে নৌকার মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে আবারোও নির্বাচিত হবেন। বালিখাঁ (৫নং) ইউনিয়নে হেবিয়েড প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শামছুল আলম। তিনি এবার নৌকা পেলে বিপুল ভোটে জয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তার কর্মী সমর্থকরা ইউনিয়নে নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকুয়া (৬নং) ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়নে নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ এনায়েত কবীর। ইউনিয়নের তার কর্মী সমর্থকরা মনে করেন,দলের তরুণ ত্যাগী নেতা হিসেবে তিনি মনোনয়ন পেলে বিশাল ভোটে জয় নিশ্চিত হবে আশা করেন। রামপুর (৭নং) ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়নে আবারও আলোচনায় রয়েছেন পরপর দুই দুই বারের (বর্তমান) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মদন সিংহ রায়। ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে আলাপ আলোচনা করে জানা যায়, তিনি ২ বারে ইউনিয়নে দৃশ্যমান একাধিক উন্নয়ন করেছেন। ইউনিয়নে তার কর্মীসমর্থকরা মনে করেন এবারোও নৌকার মনোনয়ন পেলে আবারও তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। কামারিয়া (৮নং) ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জনপ্রিয় নেতা এ.কে.এম আজহারুল ইসলাম সরকার মনোনয়ন দৌরে রয়েছেন এগিয়ে। তিনি নৌকার মনোনয়ন পেলে এবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে ইউনিয়ন জোড়ে। কামাগাঁও (৯নং) ইউনিয়নে নতুন মুখ হিসেবে নৌকার মনোনয়নে আলোচনায় রয়েছেন তরুণ উদীয়মান আ:লীগ নেতা নাঈমুর রহমান উজ্জল। তিনি ইতিমধ্যে গণসংযোগ, মতবিনিময়, বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার কর্মীসমর্থকরা মনে করেন এবারের নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে বলে আলোচনায় রয়েছেন ইউনিয়ন জুরে। বিশকা (১০নং) ইউনিয়নে নতুন মুখ হিসাবে নৌকার মনোনয়নে আলোচনায় রয়েছেন রফিকুল ইসলাম সাঈদ। তার কর্মী সমর্থকরা মনে করেন গত নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে নৌকা বিজয় লাভ করে। এবারে নির্বাচনে হেভিয়েট প্রার্থী হিসেবে নৌকার মনোনয়ন দৌরে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সাঈদ। তিনি নৌকা পেলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। এছাড়াও বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ প্রায় ১০ ইউপিতে অর্ধশতাদিক প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার আশায় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রেখে লবিং তদরিব চালিয়ে যাচ্ছেন।