সাংবিধানিকভাবেই দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘তাই কাউকেই দোষারোপ করা যায় না। সংবিধান অনুযায়ী দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের প্রায় নব্বই ভাগই রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত। তাই বর্তমান সরকার ব্যবস্থাকে কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক বলা যায় না।’ গতকাল রবিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সাবেক সিনিয়র জিএম সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা এখন শূন্যের কোটায় পৌঁছেছে’ বলে দাবি করেছেন জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘যারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, তারাই নির্বাচন কমিশনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে।’
জাতীয় পার্টি খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘১৯৯১ সালের পর যারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশের মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল- তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।’ এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এমএম নিয়াজ উদ্দিন, জহিরুল হক জহির, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।