ছুটির মেয়াদ বাড়ছে ৩০ মে পর্যন্ত। ৬ দিনের সাধারণ ছুটি এবং আট দিনের ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে এই দফায় মোট ১৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশ। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা আজ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই আগামীকাল সপ্তম দফায় ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী ১৬ মে শেষ হচ্ছে পঞ্চম দফা ছুটির মেয়াদ। ১৭ থেকে ২০ মে মোট চার দিন কর্ম দিবস। ২১ মে পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি। ২২ ও ২৩ মে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার শনিবার। ২৪ থেকে ২৬ মে ঈদুল ফিতরের ছুটি। আবার ২৭ ও ২৮ মে দুইদিন কর্ম দিবস। এর পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র শনিবার।
সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন চলতি মাস করোনাভাইরাস সংক্রমণে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে যতটা সম্ভব ঘরে রাখতে পারলে সংক্রমণের ঝুঁকি এবং মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটা কমানো যাবে। সে কারণে সরকার সাধারণ ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করলে মানুষকে ঘরে রাখা সম্ভব হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার ঈদের ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং ৩০ তারিখের পর করোনা পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতি না ঘটলে ৩১ মে থেকে সরকারি-বেসরকারি দপ্তর আবার পুরনো রূপে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
এমআর/প্রিন্স