সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন

নতুন ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন দিতে চায় সরকার

খবরপত্র:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

সারাদেশে আবার নতুন করে ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন দিতে চায় সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই এ অনুমোদন দেওয়া হচ্ছিল না। সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগ নতুন ফিলিং স্টেশন অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, সারাদেশে সড়ক যোগাযোগ বাড়ছে। এখন অজপাড়াগাঁয়েও ফিলিং স্টেশনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহন বাড়ছে। কিন্তু প্রান্তিক জনপদের বেশিরভাগ জায়গায় ফিলিং স্টেশন নেই। বাসস্ট্যান্ড বা বাজারে ব্যারেলে করে তেল বিপণন করা হয়। বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ।
বিপিসির এক কর্মকর্তা জানান, পেট্রোল পাম্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। হাটবাজারে যেভাবে উন্মুক্তভাবে তেল বিক্রি হয়, তাতে নিরাপত্তা বজায় রাখা কঠিন। সেই তেল কে দিচ্ছে বা কার কাছ থেকে আসছে সে তথ্যও থাকে না বিপিসির কাছে। একটি অবৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গেই মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তবে এ খাতে পরিবর্তনের সময় এসেছে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশের পেট্রোল পাম্পগুলোর জিপিএস লোকেশন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সাত মাস পরও তা পাঠানো হয়নি। মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে অবিলম্বে নতুন পাম্প অনুমোদন দেওয়ার জন্যই বিদ্যমান পাম্পগুলোর লোকেশন জরুরি। সে জন্যই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এখন কোথায় কোথায় পেট্রোল পাম্প রয়েছে, পাম্পগুলোর ঠিক কতদূরে নতুন পাম্প করা যায় সেটা বিবেচনা করা হবে। তা না হলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। এখন পেট্রোল পাম্পের পাশাপাশি এলপিজি (অটোগ্যাস) ফিলিং স্টেশনও অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার চাইছে জ্বালানি তেলের সঙ্গে এলপিজির সমন্বয় ঘটাতে। এটি সম্ভব হলে এক জায়গাতেই বেশি সেবা পাওয়া যাবে। জমির অপচয়ও হবে না।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির একাংশের সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, সরকার যদি মনে করে আরও ফিলিং স্টেশন প্রয়োজন তবে অনুমোদন দেবেন। অনেক এলাকায় দেখা যায়, কাছাকাছি অনেকগুলো স্টেশন, আবার কোথাও একেবারেই নেই। এদিকে সিএনজি সংযোগ ও আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএনজি মালিকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের অনুমোদন বন্ধ। আমরা মনে করি জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে এই অনুমোদন আবার শুরু করে দরকার। এ পরিবহন যেমন জ্বালানি সাশ্রয়ী, তেমনি পরিবেশবান্ধব। গ্যাসের সংকটের কথা বলা হলেও এ খাতে মাত্র ৩ দশমিক ৫১ ভাগ গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে আবার দিনে তিন ঘণ্টার রেশনিংও চলছে। তিনি বলেন, শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি নয়, গণপরিবহনেও সিএনজির ব্যবহার বাড়ানো দরকার।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com