পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি- ২০ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও হারলো বাংলাদেশ । অথ্যাৎ নিয়ম রক্ষার ম্যাচেও জয়লাভ করতে পারলোনা বাংলাদেশ। পাকিস্তান টানা তিন ম্যাচে জয়ী হয়ে সিরিজ নিজেদের দখলে নিয়েছে। শুধুই নিয়ম রক্ষার জন্যই মাঠে নামতে হয়েছিলো গতকাল দু দলকেই। অবশ্য কাল শেষ বলে জয় পরাজয় নিশপত্তি হয়। শান্তনার মধ্যে শুধুই শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের তিন উইকেট পাওয়া। যেহুতো এটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ সে জন্যই জয় পরাজয়ে গুরুত্ব বহন করে। তাই অন্তত শেষ ম্যাচেও যদি জয়লাভ করতে পারে টাইগাররা তাহলে সন্মানতো একটু রক্ষা হতো হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার লজ্জা থেকেও মুক্তি পেত। বাংলাদেশ যে দল ঘোষণা করেছে বা খেলেছে সে দল নিয়ে কোন দলেরই বিপক্ষে জয়লাভ করতে পারবেনা বাংলাদেশ এরকম ধারনা কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্তদের। এরকম অনোভিজ্ঞ দল গঠন করায় সমালোচনার মুখে পরেছে ক্রিকেট বোর্ড। যে দলে নেই সাকিব,তামিম,মুশফিক, সৌম্য, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, সাব্বিরসহ আরো অনেক সিনিয়র ফর্মে থাকা খেলোয়াড়েরা। ওপেনিং জুটি নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ প্রায় ৪০- ৫০ বছর ধরে, কিন্তু কোন ভালো ফলাফল পায়নি এখনো। যতো ভেজাল ওপেনিং জুটি নিয়েই। ভালো একটা সূচনা করতে পারছেনা ওপেনিং জুটি। ১০ রানের মধ্যেই পরছে ২ থেকে তিনটি উইকেট। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং তিন ডিপার্টমেন্টই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে টাইগাররা। এখান থেকেই বেড়িয়ে আর আসতে পারেনা বাকিটা সময়ে। যার কারনে সন্মানজনক রান করতে ব্যর্থ হয় দল। পরতেও থাকে নিয়মিত উইকেটও। তারপরে চলে ফিল্ডিংয়ে ব্যর্থতার মহড়া। যার কারনেই প্রতিপক্ষের কাছে হারতেই হয় বাংলাদেশকে। পাকিস্তান ভালো করেই জানেন যে বাংলাদেশ টি- ২০ ও টেস্টে এখনও নবজাতকের মতোই রয়েছে। তাই এই দুই ফরমেটেই সিরিজ খেলতে এসেছে তারা। দেশের মাটিতে কিছুটা হলেও ওয়ানডে ক্রিকেটে শক্তির পরিচয় দেয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ। এরকম ব্যর্থতার পরেও দেশের কথা চিন্তা করে দলের জয় আশা করে থাকেন এদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। শেষ ম্যাচেও দলের জয় প্রত্যাশা করেছিলেন তারা। দর্শকদের কথা চিন্তা করে শেষ হাসিটাও হাসতে পারলোনা অকর্মারা। এর পরই শুরু হবে আরেক অগ্নি পরীক্ষা দুই ম্যাচের টেষ্ট সিরিজ প্রথমটা চট্টগ্রামে এবং দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়।