বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দাউদকান্দিতে ১৭ বছরেও পাকা হয়নি ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা: সেবা নিতে আসা মানুষের চরম দুর্ভোগ রংপুরে সড়ক পরিবহন আইন ও ট্রাফিক সংক্রান্ত সচেতনতা মুলক সভা শ্রীমঙ্গলে লোকালয় থেকে রেসাস বানর উদ্ধার আওয়ামীল লীগ ক্যাডার নজরুল সিন্টিকেটের দখলে ৩০ একর বনভূমি দেওয়ানগঞ্জে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা গলাচিপায় নবাগত উপজেলা প্রশাসনের সাথে রাজনৈতিক দলের মতবিনিময় সভা বাউফলে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগ কেরানীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভা পিরোজপুরে দুই ক্ষুদে হাফেজকে সংবর্ধনা গোবিন্দগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক

বিদায় নিলেন অ্যাঞ্জেলা মার্কেল

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১

দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের কার্যকালের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। আগামী সপ্তাহে নতুন সরকারের কার্যভার গ্রহণ করার কথা।
ক্ষমতা হস্তান্তরের ঠিক আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। যথাযোগ্য সামরিক মর্যাদার সাথে বার্লিনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দফতরে সেই অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজ ও সৈন্যদের অর্কেস্ট্রায় বাজনা শোনানো হলো। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর সরকার প্রধান হিসেবে বিদায় নেবার আগে নিজের ভাষণে মার্কেল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার পক্ষে সওয়াল করলেন।
তার মতে, যখনই কোথাও ঘৃণা ও হিংসাকে নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার বৈধ হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়, তখনই গণতন্ত্রকামী হিসেবে আমাদের সহিষ্ণুতার সীমা শেষ হওয়া উচিত। তিনি জার্মানির মানুষের উদ্দেশে ঘৃণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন। অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও সবসময়ে জগতকে দেখার পরামর্শ দেন তিনি। কখনোই আশাবাদ ত্যাগ না করারও ডাক দেন মার্কেল।
মার্কেল নিজের কার্যকালে বিভিন্ন সঙ্কটের উল্লেখ করেন। জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটালাইজেশন, শরণার্থী সঙ্কটের মতো বিশাল চ্যালঞ্জে সামলাতে নিজের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন তিনি। এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও বহুপাক্ষিক কাঠামোগুলোকে মার্কেল অপরিহার্য বলে বর্ণনা করেন। রাজনীতিক ও মানুষ হিসেবে তিনি এমন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করেছেন, বলেন মার্কেল।
বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কেলের সম্ভাব্য উত্তরসূরী ওলাফ শলৎস। মার্কেল তাকে ও তার ভবিষ্যৎ প্রশাসনকে আন্তরিক শুভকামনা জানান। প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারও ম্যার্কেলকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন। করোনা সঙ্কটের কারণে অনুষ্ঠানে বেশি সংখ্যক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হয়নি। তবে চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল ছাড়া জার্মানির অন্য সব রাজনৈতিক শক্তির প্রতিনিধিরা মার্কেলের বিদায়ী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন।
কোনো বেসামরিক ব্যক্তিকে সম্মান জানাতে জার্মান সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সম্মান এই অনুষ্ঠান। সাধারণত চ্যান্সেলর, প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বিদায় জানাতে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ষোড়শ শতাব্দী থেকে এই ঐতিহ্য চলে আসছে। সন্ধ্যাকালীন এই অনুষ্ঠানে বিদায়ী নেতার পছন্দের সুরের পাশাপাশি জাতীয় সংগীতও পরিবেশন করা হয়। মার্কেল নিজের পছন্দের তিনটি গান বাছাই করেছিলেন। সাবেক পূর্ব জার্মানিতে থাকাকালীন ও জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে এই গানগুলো তার মনে রেখাপাত করেছে।
আনুষ্ঠানিক বিদায়ের পরেও কয়েক দিন কার্যনির্বাহী চ্যান্সেলর হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে মার্কেলকে। বিশেষ করে করোনা সঙ্কটের কারণে জার্মানিতে এই মুহূর্তে বিদায়ী সরকারের পক্ষেও নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা সম্ভব নয়। ভবিষ্যৎ সরকারের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়েছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com