বিট দিয়ে নানা পদ তৈরি করা যায়। যেমন, বিটের তরকারি, বিটের স্মুদি, বিটের সালাদ, বিটের পরোটা বা গোলা রুটি- চাইলেই আপনি বানিয়ে ফেলতে পারবেন সব রকমের খাবার। বিট ব্লেন্ড করে আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি কিংবা গোলা রুটি বানিয়ে ফেলতে পারেন। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন স্বাস্থ্যকর। শীতের সময়ে বেশি করে বিট খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। চলুন কারণগুলো জেনে নেই- ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়, বিটে খুব কম ক্যালোরি রয়েছে। ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য বিট খুব ভালো খাবার।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও বিটে খুব কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণ নাইট্রেট রয়েছে, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। এতে রক্তনালী প্রসারিত হয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। রক্ত পরিশুদ্ধ করে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়ার জন্য বিট খুব কার্যকর। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে বিট লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া একাগ্রতা বাড়াতেও সাহায্য করে বিট।
পুষ্টিগুণে ভরপুর বিটে রয়েছে আয়রন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো নানা জরুরি পুষ্টিগুণ। রোজের খাবারের তালিকায় বিট রাখলে তা শরীরের যতœ নেবে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর বিটের মধ্যে রয়েছে বিটানিন। এর কারণেই বিট লাল রঙের। বিটানিন এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও বটে। যার ফলে শরীরের পক্ষে এটি যথেষ্ট উপকারী। সূত্র: আনন্দবাজার