জামালপুরে এসপি নাছির উদ্দীন আহমেদকে প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।সাংবাদিকদের পিটিয়ে চামড়া তুলে নেয়াএবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফাঁসানোর হুমকিদাতা ওই এসপিকে প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের চতুর্থ দিনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে চলে এ অবস্থান কর্মসূচি।জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে এবং এসএ টিভির সাংবাদিক ফজলে এলাহী মাকামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক হাফিজ রায়হান সাদা, সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার সাংবাদিক লুৎফর রহমান, আজকের জামালপুরের সম্পাদক এম এ জলিল, জামালপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আমাদের সময়ের সাংবাদিক আতিকুল ইসলাম রুকন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন মিন্টু, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজু, বাসসের সাংবাদিক মুখলেছুর রহমান লিখন, সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, নিউজ টুডের সাংবাদিক এম সুলতান আলম, প্রথম আলোর সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিক মাহফুজ আহমেদ, ইত্তেফাকের সাংবাদিক শাহজামাল, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম তুফান, সচেতন কণ্ঠের সহসম্পাদক মনিরুল ইসলাম নোবেল প্রমুখ।জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক হাফিজ রায়হান সাদা বলেন, জামালপুরে সাংবাদিকদের আলাদা আলাদা সংগঠন থাকলেও আমরা একই সুতোয় গাঁথা। কোনো সাংবাদিক আঘাত পেলে সব সাংবাদিকই আঘাত পান। এসপির আপত্তিকর মন্তব্যে আমরা সবাই আঘাত পেয়েছি। পুলিশের কর্মকর্তা হয়ে তার এমন আচরণে ক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ। তাকে অবিলম্বে জামালপুর থেকে প্রত্যাহার করা না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার সাংবাদিক লুৎফর রহমান বলেন, আমরা চাই পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। এসপি সাংবাদিকদের নিয়ে এমন মন্তব্য করে সেই পরিবেশ নষ্ট করেছেন। তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে সারা দেশে সাংবাদিকদের কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং দিনকে দিন তা আরও বেগবান হবে।প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে পুনাক মেলা সম্পর্কে অবহিত করতে সাংবাদিকদের মেলা প্রাঙ্গণে ডাকেন ওই পুলিশ সুপার। তার ডাকে সাড়া দিতে না পারায় পুলিশ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে ধরে পিটিয়ে চামড়া তুলে নেওয়াসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফাঁসানোর হুমকি দেন। তারপর থেকেই আন্দোলনে নামেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।