জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের এমপি বলেছেন, যে স্বপ্ন নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে, দেশের জনগণ জীবন দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের রাজনীতি চলবে। আমরা বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাবো। আমরা তেমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেমন বাংলাদেশ গড়তে দেশপ্রেমিক জনতা জীবন উৎসর্গ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বীর শহীদদের মাগফিরাত কামনা করার পর উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে তখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতেই দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এটা ছিল গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি বলেন, বৈষম্য ও শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। আমাদের সামনে স্পষ্ট ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীরা আমাদের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। তখন বাঙালিদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করেছিল পাকিস্তানীরা। আমাদের বঞ্চিত করতো সকল অধিকার থেকে। পাশাপাশি পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ লুট করে পশ্চিম পাকিস্তান সাজাতো। এটা বাঙালি জাতি মেনে নিতে পারেনি। শোষণ আর বৈষম্যের প্রতিবাদেই প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরে স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে। বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে মূল চেতনা।
জাপা চেয়ারম্যান আরো বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমরা বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠতে পারিনি, শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে পারিনি আমরা। এখন বাঙালি-বাঙালি বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনো আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। বিদেশী গণমাধ্যমে আমরা জানতে পারি দেশ থেকে বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার বিদেশে চলে যাচ্ছে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ ও মা-বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময় এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সর্বোচ্চ ত্যাগে যে উদ্দেশ্যে, তা এখনো সফল হয়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো: মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, আমানত হোসেন আমানত, ড. প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, শেখ মো: আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন পাঠান, এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব মো: সামসুল হক, মো: বেলাল হোসেন, এ কে এম আশরাফুজ্জামন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হেলাল উদ্দিন, মো: নাসির উদ্দিন সরকার, এ বি এম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, কাজী আবুল খায়ের, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, গোলাম মোস্তফা, ডা: সেলিমা খান, কেন্দ্রীয় নেতা জাহানারা মুকুল, তাসলিমা আকবর রুনা, আব্দুস সাত্তার, মো: রেজাউল করিম, সরদার নজরুল ইসলাম, সাফিয়া পারভীন, ফেরদৌসি আক্তার মুকুল, ফারুক শেঠ, জিয়াউর রহমান বিপুল, মো: আলমগীর হোসেন, মিথিলা রওয়াজা, সৈয়দা জাকিয়া আফরোজ হিয়া।