শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

আর মাত্র ১১ দিন সময় আছে ছাপাতে বাকি ৮ কোটি বই

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১

জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আর মাত্র ১১ দিন বাকি থাকলেও এখনো ছাপা হয়নি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের আট কোটির বেশি বই। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের সাড়ে ৬ কোটি আর প্রাথমিকের প্রায় দেড় কোটি পাঠ্যবই ছাপার কাজ বাকি। তবে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব বই সারাদেশে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এনসিটিবি জানায়, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো হচ্ছে প্রায় ৩৫ কোটি বই। এর মধ্যে প্রাথমিকের প্রায় ১০ কোটি আর মাধ্যমিকের রয়েছে ২৫ কোটি। রোববার পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ২ কোটি ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫০২টি বইয়ের মধ্যে মুদ্রণ শেষ হয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৯২টি বইয়ের। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছেছে ২ কোটি ৭৩ হাজার ৮৮৫টি। এ স্তরে বই পৌঁছানোর হার ৮১ শতাংশ। আর তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৬ কোটি ৮১ লাখ ৯৬ হাজার ৫২৮টি বইয়ের মধ্যে ছাপা হয়েছে ৯৩ শতাংশ। এর মধ্যে ৬ কোটি ২৫ লাখ ৮ হাজার ৬৫৫টি বই জেলা পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ স্তরে বই পৌঁছানোর হার ৮৮ শতাংশ।
প্রাক-প্রাথমিকের ৬৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮০টি নতুন বইয়ের মধ্যে মুদ্রণ শেষ হয়েছে ৫০ শতাংশের। সেসব বই মাঠ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪টি বইয়ের শতভাগ মুদ্রণ শেষে পৌঁছেছে জেলা পর্যায়ে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকের বই ছাপানো বাকি রয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬২টি।
অন্যদিকে মাধ্যমিকের ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার ২০২টি বইয়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছাপানো হয়েছে সাড়ে ১৮ কোটি বই। তার মধ্যে জেলা পর্যায়ে পৌঁছেছে প্রায় ১৩ কোটি। এখনো সাড়ে ৬ কোটি ৭১ লাখের বেশি বই ছাপানো হয়নি। আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে এসব ছেপে জেলা পর্যায়ে পৌঁছানো নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, প্রাথমিক স্তরের বই ছাপানোর কাজ প্রায় শেষ। মাধ্যমিক কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও যে কোনো মূল্যে কাজ শেষ করা হবে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রাক-প্রাথমিকের বই ছাপানোর চুক্তি আগামী সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। এরপর মুদ্রাকররা সময় পেলেও তাদের বই সরবরাহ করতে বলা হবে এ মাসের মধ্যেই।
তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে প্রতি বছরই সংকটের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বই পেয়ে যায়। প্রাথমিকের বই পুরোদমে মুদ্রিত ও সরবরাহ হচ্ছে। মাধ্যমিকের অর্ধেকের মতো বইয়ের কাজ শেষ। সেগুলো জেলা পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের সংকট কমাতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে বই বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই বছর সরকার ২৯৬ কোটি ৭ লাখ টাকার পাঠ্যপুস্তক প্রদানের উদ্যোগ নেয় এবং ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি এটি প্রথম উদ্বোধন করেন। একদিনে বিশাল সংখ্যক বই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com