শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন

পরকীয়ায় শেষ ফুটবল ক্যারিয়ার!

স্পোর্টস ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১

প্লাতিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ফরাসি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেইন্ট-এতিয়েন ফুটবল ক্লাবে লারিয় তার সতীর্থ ছিলেন। মূলত একসাথে খেলার সময় প্লাতিনির স্ত্রীর সাথে লারিয় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠে। মিশেল প্লাতিনির নেতৃত্বে ১৯৮৪ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে ফ্রান্স। এই জয়ের ডামাডোলে হারিয়ে যায় চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে দল থেকে জ্যঁ ফ্রাঁসোয়া লারিয়র বাদ পড়ার কাহিনি।
স¤প্রতি ফাঁস হয়েছে, দলের অধিনায়ক প্লাতিনির স্ত্রীর সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই ক্যারিয়ারে ইতি টানতে বাধ্য হন লারিয়। বাদ পড়ার আগে সেইন্ট এতিয়েঁ ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলা এই মিডফিল্ডার জাতীয় দলের হয়ে ১৭টি ম্যাচ খেলেন। স্ট্রাইকার না হয়েও গোল করেন পাঁচটি। ১৯৭৮ সালে অভিষিক্ত এই খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার শেষ হয় মাত্র ২৬ বছর বয়সে। এর জন্য মিশেল প্লাতিনিকে সব সময় দোষ দেন তিনি।
১৯৭৬ সালে অভিষিক্ত মিশেল প্লাতিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ফরাসি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেইন্ট-এতিয়েন ফুটবল ক্লাবে লারিয় তার সতীর্থ ছিলেন। মূলত একসঙ্গে খেলার সময় প্লাতিনির স্ত্রীর সঙ্গে লারিয় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠে।
২০১৭ সালে ‘আই প্লেইড উইথ ফায়ার’নামে একটি আত্মজীবনীমূলক বই প্রকাশ করেন লারিয়। এই বই নিয়েই স¤প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি সাংবাদিক বার্ট্রান্ড মেটায়ারের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময়ই বহু বছর আগের জীবন বদলে দেয়া ঘটনাটি বর্ণনা করেন তিনি।
প্লাতিনির স্ত্রীর সাথে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ে লারিয় বলেন, ‘সেই গল্পটি ছিল আদম আর হাওয়ার আদি ভুলের মতোই। কিন্তু সেটা ছিল- প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতো। সত্যিকারের প্রেমের গল্প। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের কথা কেউ জানবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা ফাঁস হয়ে যায়।’
তিনি জানান, সম্পর্কের কথা ফাঁস হওয়ার পর প্লাতিনির সঙ্গে তার কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি সাধারণ সৌজন্যর শব্দটিও তারা একে অন্যের সঙ্গে উচ্চারণ করতেন না। এ অবস্থাতে আরও বেশ কিছুদিন সতীর্থ হিসেবে তারা খেলা চালিয়ে গেছেন।
লারিয়র কাছে পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে তিনি নিজে দল থেকে সরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ১৯৮২ স্পেন বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে চোটে পড়ার নাটকও সাজাতে চেয়েছিলেন তিনি। তার এমন প্রস্তাব নাকচ করে দেন সেই সময়ের ফরাসি কোচ। তার পরও খুব বেশিদিন খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি লারিয়র। মিশেল প্লাতিনির স্ত্রী ক্রিস্টেল প্লাতিনি সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। প্লাতিনির স্ত্রী হিসেবেই তিনি অধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯৭৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এই দম্পতি মেরিন ও লরাঁ প্লাতিনি নামে দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com