ব্রেন টিউমার মানুষের জীবননাশের কারণ হতে পারে। আর তাই তো ব্রেন টিউমারের নাম শুনলেই ভয় পান সাবাই। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ভেতরে ক্যানসার বা নন ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ঘটে। এই টিউমার শুধু মস্তিষ্কেও হতে পারে আবার শরীরের অন্য অংশে তৈরি হয়ে মস্তিষ্কে ছড়াতে পারে। ব্রেন টিউমারের কয়েকটি ধরন আছে। কত দ্রুত টিউমারটি বেড়ে উঠছে, কোন অংশে হয়েছে, স্নায়ু কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, টিউমারটি ক্যানসারাস কি না ইত্যাদি বিষয় দেখার পরই চিকিৎসকরা রোগীর চিকিৎসা করেন। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে নিরাময়যোগ্য, অন্যথায় রোগীর প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে।
তাই সামান্য কিছু লক্ষণ দেখলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এজন্য জেনে রাখা ভালো ব্রেন টিউমারের উপসর্গ কী কী। যদিও ব্রেন টিউমারের লক্ষণ কেমন হবে বিষয়টি রোগীভেদে বদলে যায়। এ ছাড়াও টিউমারটি কোথায় হয়েছে, স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত করেছে কি না ইত্যাদি বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে দেখা দেয় উপসর্গ। তবে প্রাথমিক অবস্থায় অনেকের মধ্যেই দেখা দিতে পারে কয়েকটি লক্ষণ-
>> চোখে ঝাপসা দেখা >> মুখের স্বাদ চলে যাওয়া >> কাঁপুনি দেওয়া ৪. মৃগী ৫. হাতের বা শরীরের একদিক অবশ হয়ে যাওয়া ৬. ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারা। চলতে গিয়ে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি। ৭. বুঝতে না পারা
৮. ব্যক্তিত্বে বদল। ৯. অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ১০. বমি পাওয়া বা বমি হওয়া ইত্যাদি। উপরের সব লক্ষণের পাশাপাশি আরও দুটি উপসর্গ আছে যা নিয়মিত দেখা দিতে পারে। এ দুটি লক্ষণ হলো- প্রচ- মাথাব্যথা ও মাথায় অতিরিক্ত চাপের জন্য নিজেকে অসুস্থ মনে হওয়া। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তথ্য মতে, এই মাথা ব্যথার ধরন সাধারণ মাথা ব্যথার চেয়ে আরও কষ্টদায়ক। এক্ষেত্রে খুব ব্যথা হয়। এমনকি ব্যথা প্রতিদিনই হতে পারে। তাই মাথাব্যথাকে সামান্য ভেবে ওষুধ খেয়ে দমিয়ে রাখবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি কাদের বেশি? >> বেশিরভাগ সময়ই দেখা গেছে ষাটোর্ধ্ব বা তারও বেশি বয়সে মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। >> ব্রেন এক্স রে, সিটি স্ক্যান, রেডিওথেরাপি বেশি মাত্রায় হলেও এ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। >> জিনগত রোগ যেমন- স্কেলেরোসিস, টার্নার সিনড্রোম, টাইপ ১ ও টাইপ ২ নিউরোফাইব্রোম্যাটোসিস আছে এমন ব্যক্তিদের। >> পরিবারে এই রোগে কেউ আক্রান্ত হলে। >> পুরুষরা নারীদের চেয়ে এ রোগে বেশি ভোগেন। >> মাথায় আঘাত পান যারা। তাই এসব ঝুঁকি থাকলে ও উপরের কোনো উপসর্গ টের পেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সূত্র: মায়ো ক্লিনিক/মেডিকেল নিউজ টুডে