ফরিদপুরের সালথায় সম্প্রতি সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। ফরিদপুরের সালথায় সংঘর্ষ ও হামলায় ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ১৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে সালথা থানা পুলিশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসিকুজ্জামান, ডিবির ওসি রাকিব হোসেন, ফরিদপুর ও সালথার কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, সালথা থানাধীন বালিয়া গট্রি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য দল দুই পক্ষের লোকজন কাইজ্জা দাঙ্গা করা এবং শক্তির মহড়ার প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ঢাল, কাতরা, সরকি ও রামদাসহ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মূখোমুখি অবস্থান করছে মর্মে সংবাদ পাওয়া গেলে সেখানে অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে সালথা থানার অফিসার ও ফোর্স উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার নির্দেশ দেয়। বিবাদমান পক্ষদ্বয়কে পুলিশ বারংবার সতর্ক করা সত্বেও জনতা ছত্রভঙ্গ না হয়ে বরং পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। জনতার নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে অফিসার ইনচার্জসহ কর্তব্যরত ৭ জন পুলিশ সদস্য জখমপ্রাপ্ত হয়। কর্তব্যরত পুলিশ দল নিজেদের জানমাল, সরকারি অস্ত্র-গুলি ও সাধারণ জনগণের জানমাল রাক্ষার্থে ৩ (তিন) টি গ্যাস সেল এবং ৭ (সাত) রাউন্ড শর্টগানের কর্তুজ ফায়ার করে উশৃংখল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। সৃষ্ট ঘটনায় পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। ঘটনা জড়িত ৩ জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। অলোচ্য ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩২ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত অনেককেই আসামী করে সালথা থানার মামলা দায়ের করে। দায়েরকৃত মামলায় এই পর্যন্ত ১৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে। পুলিশের ধারণায় সালথার দুই আওয়ামীলীগের নেতাদের দন্দের ফসলই হচ্ছে এই সংঘর্ষ। দুই নেতাদ্বয় হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর এবং গট্রি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান চয়ন। এই দুই নেতা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।