গোপালপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে স্বাধীনতা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে জাতির পিতার ম্যুরাল ও গোপালপুরের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত ভাস্কর্য ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির, উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. পারভেজ মল্লিক, পৌরমেয়র রবিকুল হক ছানা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট শামসুল আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন প্রমূখ। এ সময় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর তাঁর মুক্তি ও দেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে সারা দেশেই উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের আনন্দ অপূর্ণ রয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার মধ্য দিয়ে মানুষ যেন পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের দেখা পেয়েছিল সেদিন। বঙ্গবন্ধু তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে। বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি যখন তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে, তখন ঢাকার রাস্তায় আনন্দাশ্রুতে উদ্বেলিত হতে থাকে লাখ লাখ জনতা। এর আগে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন তিনি। সেদিনই তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডনে যান। সেখানে দুই দিন অবস্থান করে ১০ জানুয়ারি দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফেরেন বঙ্গবন্ধু।