মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য ‘খুশির ঝুড়ি’

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২

দুপুরের ঘটনা। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ নিয়ে দোকানে এলেন এক বৃদ্ধ ভ্যানচালক। নাম তার রাধাকান্ত। দোকানে এসেছেন ঠিকই, কিন্তু তার কাছে টাকা কম। তাই তিনি শুধু চা খেতে চাইলেন। কিন্তু তাকে দেখেই দোকানী সুব্রত নাথ বুঝতে পারেন তিনি ক্ষুধার্ত। তাই দোকানের সামনে থাকা ‘খুশির ঝুড়ি’ থেকে এক প্যাকেট বিস্কুট তুলে নিতে বলেন। ওই ভ্যানচালককে একটা মাস্কও পরিয়ে দেন সুব্রত নাথ। ঝুড়ি থেকে এক প্যাকেট বিস্কুট পেয়ে খুবই খুশি বৃদ্ধ।
এভাবেই অসহায়-অভাবী ও ক্ষুধার্ত মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন সুব্রত নাথ ও তার স্ত্রী প্রিয়া নাথ। ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বনগাঁর চম্পক সরণি মোড়ে। ‘খুশির ঝুড়ি’ নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে জানা গেল, পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা দম্পতি সুব্রত নাথ। চম্পক সরণি মোড়ে তাদের একটি চায়ের দোকান রয়েছে। সেখানে ঝুড়িতে খাদ্যসামগ্রী রাখেন তিনি। কোনো ক্ষুধার্ত, পথচারী, কিংবা ভবঘুরে দোকানে এসে চা চাইলে তাদের বিনা পয়সায় ওই ঝুড়ি থেকে খাবার তুলে দেন। অনেকেই সেখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকলেও মুখ ফুটে খিদের কথা বলতে পারেন না। তাদের মুখ দেখেই বুঝে নেন সুব্রত। ঝুড়ি থেকে খাবার তুলে দেন। সবই বিনামূল্যে। এভাবে দিনে অন্তত ২০ জন ক্ষুধার্ত মানুষের পেট ভরিয়ে থাকেন সুব্রত ও প্রিয়া।
এই দম্পতির নিজেদের বাড়ি নেই, থাকেন ভাড়া বাসায়। ছোট্ট চায়ের দোকান চালিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে যায়। কিন্তু তাতে যেন দুঃখই নেই তাদের। সুব্রত বলেন, স্ত্রী প্রিয়া অতীতে অভাব-অনটনের মধ্যে কাটিয়েছেন। তাই এর যন্ত্রণা তিনি বুঝতে পারেন। স্ত্রীর ইচ্ছাতেই এই ‘খুশির ঝুড়ি’র উদ্যোগ। সুব্রত বলেন, মানুষ যখন সামান্য কিছু খেয়ে খুশি হন, তাদের চোখ দেখে তৃপ্তি অনুভব করি। কিন্তু এই খাবারগুলো দেন কারা? এমন প্রশ্নে তিনি জানালেন, দোকানে এসে অনেক ক্রেতাই খুশির ঝুড়িতে খাবার কিনে রেখে যান। এছাড়া কয়েকজন ভবঘুরের খাবারের ব্যবস্থা নিজেই করেন। খবর: সংবাদ প্রতিদিন




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com