টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বংশাই নদীর পাড়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। তৎকালীন স্থানীয় জমিদার ছমির উদ্দিন চৌধুরী ১৯১৭ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ঘাটাইলের ধলাপাড়ার বিখ্যাত এই মসজিদটি শত বছরের পুরনো। শৈল্পিক ও নান্দনিক কাঠামোর জন্য এটি টাঙ্গাইলের পুরনো স্থাপত্যগুলোর অন্যতম। ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে বংশাই নদীর পাড়ে মসজিদটি অবস্থিত। এর নামফলক থেকে জানা গেছে, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ বনাম ইংরেজি ১৯১৭ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন ধলাপাড়ার জমিদার ছমির উদ্দিন চৌধুরী এটি নির্মাণ করেন। মসজিদটিতে রয়েছে সাতটি গম্বুজ। মূল অংশের ওপরে রয়েছে তিনটি গম্বুজ। মাঝের গম্বুজটি একটু বড়। বারান্দায় রয়েছে আরও চারটি ছোট আকারের গম্বুজ। এর পাশে একটি সুউচ্চ মিনার ও ঈদগাহ মাঠ রয়েছে। স্থানীয় প্রতœতত্ত্ব গবেষক আবু সালেহ মো. জাকারিয়ার ‘ঘাটাইলের কিংবদন্তীথ বইয়ের তথ্যমতে, মসজিদটির গম্বুজ মোগল আমলের মসজিদের স্থাপত্যরীতির সঙ্গে মিল রয়েছে। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ৫৪ ও ৪০ ফুট। প্রতিটি দেয়ালের পুরুত্ব আনুমানিক সাড়ে তিন ফুট। মসজিদের মূল অংশে ও বারান্দায় রয়েছে পাঁচটি করে দরজা। এর ওপর রয়েছে লোহার খাঁচকাটা কারুকাজ। পশ্চিমের দেয়ালের কারুকাজগুলো অন্য পাশের দেয়াল থেকে ভিন্ন। এটি সহজে মুসল্লিদের দৃষ্টি কাড়ে। মসজিদ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে চুন, সুরকি ও সাদা সিমেন্ট। মিনারের পাশে মুসল্লিদের অজু ও গোসলের ব্যবস্থার জন্য একটি পুকুরও খনন করা হয়েছে। মসজিদটিতে একসঙ্গে আনুমানিক ২০০ জন নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটি সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। জমিদার ছমির উদ্দিন চৌধুরীর বংশধর ধলাপাড়ার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ববিন হায়দার চৌধুরীর উদ্যোগে এই সংস্কার কাজ করা হয়। ববিন হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘মসজিদের মূল কারুকাজ ঠিক রেখে সংস্কার করা হয়েছে। ফলে প্রাচীন এই স্থাপনাটি আরও অনেক দিন টিকে থাকবে।থ