অপরাধমুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মানের লক্ষ্যে জামালপুর পৌরসভার ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের জন্য গঠিত ৭নং বিট পুলিশিং কার্যক্রমের ফলে তিরুথা, বামুনপাড়াসহ পাশের গ্রামগুলো শান্তিপুর হয়ে উঠছে। বিট পুলিশিং কার্যক্রমের সভায় বক্তারা এধরণের মন্তব্য করেন। রবিবার বামুনপাড়া বিট পুলিশিং কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম খান।সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠক জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিট পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুজ্জামান, শিক্ষক মিয়ার উদ্দিন, এলাকার মাতব্বর হাবিবুর রহমান, তহুর আলী মন্ডল, নয়ন মিয়া, শহর আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মিয়া, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছোহরাব হোসেন, সমাজকর্মী বিদ্যুৎ প্রমুখ।পর্যালোচনা সভায় বক্তারা বলেন বিট কার্যক্রম শুরু হওয়ায় পৌরসভার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বামুনপাড়ায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া কোন অপরাধ সংঘটিত হয়নি। থানায় কোন মামলা হয়নি। মাদকের আড্ডা বসে নাই। জুয়া খেলার তেমন কোন আসর বসে নাই। পারবারিক এবং জমি সংক্রান্ত অধিকাংশ বিরোধ নিস্পত্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ, শীতার্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ, বেডমিন্টন ও ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের আয়োজন, ধর্মান্ধতা দূরিকরণে ইসলামের মূলবার্তা প্রচারনায় সমাবেশের আয়োজন করা, প্রতিবন্ধী, বিধবাসহ বিপাদাপন্ন মানুষকে সহায়তা করাসহ নানামূখী কল্যাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন বক্তরা ।উল্লেখ বিট পুলিশিং কার্যক্রমের সার্বিক সহায়তা করছে জাহাঙ্গীর সেলিমের নেতৃত্বে উদয়ন ক্লাব ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।জামালপুর সদর থানার ওসি রেজাউল করিম খান এলাকাবাসীর ভুয়শী প্রশংসা করে বলেন ৭নং বিট অফিসের মতো বিশেষ করে ১২ নং ওয়ার্ডবাসীর মতো সবাই যদি এগিয়ে আসে তাহলে জামালপুর তথা গোটা বাংলাদেশে অপরাধ নির্মূল হয়ে শান্তি বাতাস বইবে। তিনি সবাইকে প্রতিদিন ভালো কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন কেউ যদি দিনে মোট কাজের ৫১ভাগ ভালো কাজ করেন তাহলে সে রাতে তার নির্ভেজাল ঘুম হবে। এটা আল্লাহর অশেষ নিয়ামত। সভাপতির বক্তব্য জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন বিট পুলিশিং একটা আদর্শ, একটা চেতনার নাম। এই কাজের ফলে ১২ নং ওয়ার্ডে বিশেষ করে তিরুথা, বামুনপাড়া এলাকা অপরাধমুক্ত ও মামলা শুন্য এলাকায় পরিণত হচ্ছে। পুলিশের সহায়তা অব্যাহত থাকলে শান্তির নগরে পরিণত হবে গোটা এলাকা।