উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। সপ্তাহ জুরেই পঞ্চগড়সহ তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ৮ থেকে ৯ এর ঘরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। শীতে কাতর হয়ে পঢ়েথে নিম্ন আয়ের মানুষ।বেলা ১০টার পর থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা কিছুটা শুস্ক থাকলেও বিকেল ৪ টার পর থেকে এ অহ্চলে তাপমাত্রার পারদ কমতে শুরু করে আর নামতে শুরু করে একক সংখ্যায় এবং তা অব্যাহত থাকে সকাল পর্যন্ত। হিমালয়ের এই হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন। এতে বারেই কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু,যুবকসহ সব বয়সি মানুষ। দিনের বেলায়ওকাঁপছে মানুষ ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মানুষসহ গৃহপালিত পশু।এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত ছিন্নমুল নিম্ন আয়ের মানুষগুলো গরম কাপড়ের অভাবে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। উত্তরের এই হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন। এতে করে একবারেই প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাশের কারনে দিনের বেলায়ও ক্ষেতে খামারে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না কৃষকসহ খেটে খাওয়া নিম্স মধ্যম আয়ের মানূষ। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি খড়কুটো জ¦ালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন তারা। গত এক সপ্তাহ যাবৎ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এর্ব বিকেল ৪ টা হতে রাতভর ঘন কুয়াশা রাত যত গভীর হয় কুয়াশার মাত্রাও ততই বাড়তে থাকে এবং তা পরদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। বৃষ্টির মতই কুয়াশা ঝড়তে থাকায় রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে প্রতিনিয়তই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে প্রচন্ড হিমেল হাওয়ায় হাত পা ঠান্ডায় কাতর হয়ে থাকে। এতে করে মানুষ সাধারণ কাজকর্ম করতে পারছে না। রিক্সা ভ্যান চালকরা একটু পরপর হোটেল কিংবা চায়ের দোকানে চুলার কাছে গিয়ে হাত শেকে নিচ্ছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা ঘর তেকে বের হতে পারছে না। দিনভর ঘরের মধ্যে গাঁয়ে কাঁথা কম¦ল জড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।কনকনে ঠান্ডায় প্রয়োজনের তুলনায় গরম কাপড় না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন। শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাহিল শ্রমজীবি মানুষের জীবিকার তাগিদে তবুও ছুটছে পথে প্রান্তরে। প্রচন্ড ঠান্ডায় সন্ধা নামার সাথে সাথেই হাট বাজারগুলে ফাকা হয়ে যায়। সহ নিম্ন আয়ের মানুষজন। প্রচন্ড ঠান্ডায় গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে চোটখাট খামারিরা মারাত্মক বিড়ম্বনায় পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ।প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে শীতজনিত নানান রোগের প্রাদুর্ভাবও বেড়ে গেছে। ডায়রিয়া, সদ্দিয়, জ¦র, নিউমোনিয়া, শ^াসকষ্ট ও হাপানির মত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২২ সালের শুরুতেই এ এলাকায় শীতের তীব্রতা মৃদু শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়ে দফায় দফায় এখন পর্যন্ত তা অব্যাহত আছে। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান গতকাল শনিবার সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।এত করে চরম বিপাকে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে শীতবস্ত্রের অভাবে।