ট্রান্সজেন্ডার নারী বিউটি ব্লগার সাদ মুআকে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার মামলায় মূলহোতা ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ও সহযোগী নারী আরজেসহ তিনজনকে রাজধানীর ফার্মগেট ও মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ, তার স্ত্রী কথিত আরজে সাইমা নীরা ও সাদমান সাকিব। গতকাল রোববার বাংলাদেশ জার্নালকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।
তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডার নারী ভাটারা থানায় একটি যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে র্যাব তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে, যৌন নির্যাতনের অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেছেন ট্রান্সজেন্ডার নারী বিউটি ব্লগার সাদ মুআ। এছাড়াও ঘটনার বিবরণও পোস্ট করেছেন তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। মামলা সূত্রে জানা যায়, সাদ মুআ তিনজন অপরাধীর মধ্যে দুজনের ছবি প্রকাশ করে লেখেন, তিনজনের এই হচ্ছে দুইজন, যারা আমাকে আটকে রেখে আমাকে টর্চার করে সব কিছু নিয়ে নেয়। মেয়েটার নাম সায়মা শিকদার নিরা, ছেলের নাম ইশতিয়াক ফুয়াদ। এই মেয়েটাকে তারা স্যার স্যার বলে ডাকছিলো। আর ওয়াকিটকি তে রাফাত বিন নুর স্যার এর সঙ্গে কথা বলছিলো আমাকে পাচার করে দেয়ার জন্য।
পরে জানলাম তারা যে রাফাতের কথা বলছিলো, তিনি আর্মিতে চাকরি করেন। আর সে এখন মিশনে দেশের বাইরে আছে। আর ছবির ছেলেটা এয়ারফোর্সে ছিলো এবং কোনো কারণ বশত ওর চাকরি চলে যায়। ছেলেটি নর্থসাউথে পড়ে আর মেয়েটা পরে ড্যাফোডিলে। অথচ ছেলেটা নিজেকে আর্মি ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেয়, আর মেয়েটা নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়। কোথাও কোথাও বলে যে সে নর্থ সাউথে পড়ে। এছাড়া এদের পরিচিত লোকদের থেকে জানা যায়, ওদের বসুন্ধরাতে কয়েকটা বাসা ভাড়া নেয়া আছে। সব জায়গাতে তারা স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে মাঝে মাঝে থাকে। বসুন্ধরার বাইরেও নাকি এদের বাসা আছে।
উল্লেখ্য, সাদ মুআ বিউটি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। মেকআপ টিউটোরিয়ালসহ বিউটি কেয়ারের নানা ধরনের ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত তিনি।