রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ অপরাহ্ন

গঙ্গাচড়ায় ১০ উদ্যোক্তার স্বপ্নতরী ভাসমান রেস্তোরাঁ

আব্দুল আলীম প্রামানিক গঙ্গাচড়া (রংপুর) :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২

উদ্যোক্তা ১০ জন। বয়সে তরুণ। একেক জন একেক পেশার সঙ্গে জড়িত। তিস্তাকে ঘিরে তাদের স্বপ্ন। কীভাবে ব্যাবসায়িকভাবে সফল করা যায় এমন ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেয় ছোট পরিসরে ভাসমান রেস্তোরাঁ তৈরির। কাজ শুরু করে দেয়। রেস্তোরাঁর কাজে বিনিয়োগ করে তারা। রেস্তোরাঁর নাম দিয়েছেন স্বপ্নতরী ভাসমান রেস্তোরাঁ। রেস্তোরাঁয় খরচ হয় প্রায় ১৫ লাখ টাকা। অনেক স্বপ্ন নিয়ে তাদের এই পথচলা। ধীরে ধীরে জমে উঠছে রেস্তোরাঁ। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকায় তিস্তা নদীতে নির্মাণ করা হয়েছে স্বপ্নতরী ভাসমান রেস্তোরাঁ। রেস্তোরাঁয় বসে চোখে পড়বে তিস্তার মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। রেস্তোরাঁর এক উদ্যোক্তা মহব্বত জানান, তারা কয়েক জন মিলে এমন চিন্তাভাবনা করেন। ভাসমান রেস্তোরাঁটি ১৪০টি ড্রাম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যা ৩০ টন পর্যন্ত লোড নিতে পারবে। তিনি আরো বলেন, এখানে বাঙালি খাবার, কিছু ফাস্ট ফুডের আইটেম, চা-কফিসহ বিভিন্ন আইটেম চালু থাকবে। মনোরম পরিবেশে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছে রেস্তোরাঁয়। শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুকে ঘিরে এই স্বপ্নতরী ভাসমান রেস্তোরাঁয় এসে সবাই খুশি। পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর সুযোগ রয়েছে। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। রেস্তোরাঁয় কাজের সংস্থান হয়েছে ১০ জন লোকের। উত্তরাঞ্চলে এই প্রথম চালু হলো একটি ভাসমান রেস্তোরাঁ। সম্প্রতি স্বপ্নতরী ভাসমান রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গঙ্গাচড়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ সুশান্ত কুমার সরকার, সমবায় অফিসার আফতাবুজ্জামান, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। পরিষদ থেকে তারা শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com