খানাখন্দে ভরা দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো নির্মাণ ও প্রশস্ত করার দাবীতে সংবাদ সম্মেলণ করেছে হিলি নাগরিক কমিটি। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে হাকিমপুর (হিলি) প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলণের আয়োজন করা হয়। এসময় লিখিত বক্তব্যে নাগরিক কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব শামছুল হুদা খান বলেন, হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে সরকার বছরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে। অথচ মহিলা কলেজ থেকে চেকপোস্টের জিরোপয়েন্ট এবং সিপি মোড় থেকে বিরামপুর রেলগেট পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা সহ ঘোড়াঘাট রাস্তা দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের আমদানী-রপ্তানীকৃত পণ্যবাহী হেভীওয়েট ট্রাক চলাচল করে। একারণে প্রধান রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পথচারী, ব্যবসায়ী, রোগী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এ্যাম্বুলেন্স সহ জরুরী কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচলে সীমাহীন কষ্ট ও দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ভাংগা-চোড়া রাস্তা আর ফুটপাত দখলের কারণে বন্দরে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে। ফলে অনেক প্রাণহানী সহ ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ মহিলা কলেজ থেকে চেকপোস্টের জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটি কোন রকম কাজকর্ম পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এছাড়া হিলি রেলস্টেশনের উপর দিয়ে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, পঞ্চগড় ও নীলফামারী রেলপথে ২২-২৪টি ট্রেন যাতায়াত করলেও শুধুমাত্র এখানে ৩টি ট্রেন থামে। ফলে হিলিবাসী, আমদানি-রপ্তানীকারক, শিক্ষার্থী, রোগী, সরকারী, বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ট্রেনযাত্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে করে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছেন। তাই জনদূর্ভোগ লাঘবে এবং হিলিবাসীর স্বার্থে অবিলম্বে হিলি স্থলবন্দরের জনগুরুত্বপূর্ণ সকল রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু করা সহ সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতীর জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান। এসব সমস্যার সমাধান না হলে আগামী ১৫দিনের মধ্যে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলণে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব হাসান চৌধুরী মধু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, খলিলুর রহমান বাবুল, এনামুল হক খান ও শ্যামল কিশোর দাস।