ভারতীয় গরুর নামমাত্র হাট নিলামের ছাড়পত্র এবং নামমাত্র কাস্টমসের ছাড়পত্র দেখিয়ে প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত পার্শবতী দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন চোরাই পথে আসছে রোগান্তর গরু। আর এ সকল রোগান্তর গরু ভারত থেকে নিয়ে আসছে বাংলাদেশের সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট। এতে করে সরকার যেমন হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা ও ওমিক্রনের মত প্রানঘাতি সংক্রমন। সম্প্রতি এ সকল ভারতীয় গরু পার্সবর্তী উপজেলা ডিমলার ভারতীয় বর্ডার পার হয়ে এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও বুড়িমারী থেকে ট্রাক, ট্রাকটর, পিকআপ,নছিমন ও করিমন যোগে জলঢাকা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে সক্রিয় সিন্ডিকেট চক্রটি। ফলে জলঢাকায় এই অবৈধ গরু ব্যবসায়ীর একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এদের মাধ্যে জলঢাকায় চলছে ভারতীয় গরুর রমরমা ব্যবসা। সম্প্রতি এসব চিত্র উঠে আশে জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ হাটে। ভারতীয় গরুর এই রমারমা ব্যবসা দৃষ্টিগোচর হয় স্থানীয় সূধী সমাজর ব্যক্তি সহ গণমাধ্যমকর্মীদের। স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা এ সংক্রান্ত রিপোর্টের জন্য হাটটিতে গেলে হাট ইজারাদার কর্তৃক বাকবিতন্ডায় সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়।অভিয়োগ উঠেছে জনমনে যে, ভারতে করোনা এবং ওমিক্রন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সীমান্ত ঘেঁষা পার্শ্ববতী দেশ বাংলাদেশের নাগরিকরা চিন্তিত্ব। আর অবৈধ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেই দেশের রোগান্তর গরু কয়েক হাত হয়ে চোরাই পথে প্রবেশ করছে বাংলাদেশে।এতে করে করোনা এবং ওমিক্রনের মত প্রানঘাতি রোগ বৃদ্ধি লক্ষনীয়। সরোজমিনে গত ১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার মীরগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, ১২ থেকে ১৫টি বিশাল আকৃতির ভারতীয় গরু। হাট ইজারাদারদের গোপন যোগসাজশে সক্রিয় সিন্ডিকেটটি ভারতীয় গরুগুলো হাটে তুলেছেন। হাটটিতে নেই কোন করোনার বাধ্যবাধকতা। এমনকি সিংহভাগ ক্রেতা বিক্রেতার মুখে ছিল না মাস্ক। হাট ইজারাদার কর্তৃক স্বাস্থ্যবিধির কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। জনসমুদ্র এ হাটটিতে ভারতীয় গরু এড়িয়ে চলছে সচেতন নাগরিকরা। এসময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, মীরগঞ্জের হাটের ঐতিহ্য আছে দেশের দক্ষিন ও উত্তরোঞ্চলে। এই খ্যাতি ভাঙ্গিয়ে হাট ইজারাদারদের গোপন যোগসাজশে সক্রিয় একটি গরু ব্যবসায়ীরা অপ্রতিরোধ্য সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, ভারতীয় গরু এ হাটে আশায় আমরা সংকিত ও চিন্তিত। না জানি ভারতের মত আমাদের এলাকায় করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে গত কয়েক হাট থেকেই এমন অভিযোগ শুনে আসছেন উপজেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় গতহাটে নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান নিজেই পরিদর্শনে যান মীরগঞ্জ হাটে।সেদিনেই গণমাধ্যমকর্মীরা রিপোর্টের জন্য যান মীরগঞ্জ হাটে। গণমাধ্যমকর্মীরা ভিডিও চিত্র সহ ও হাটে উপস্থিত লোকজনদের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে হাট ইজারাদার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত লোকজন সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করেন। এতে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এবং তিনি নিজেই দেখতে পান চলতি করোনার বিধি নিষেধ নেই হাটটিতে। মাস্ক ছাড়া হাটে প্রচুর জনসমাগম। তিনি এসব দৃষ্টিগোচরে হাট ইজারাদারদের সহ দালালদের সচেতন করে বলেন, আমি দ্বিতীয় বার হাটে এসে যেন এ রকম ব্যাপার দেখতে না পাই। এমন হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণমাধ্যমকে জানান, এমন অভিযোগ গত হাটবার পেয়েছি এবং সাবধান করে দিয়েছি, আজ নিজে গিয়ে পরিদর্শন করেছি, ভবিষ্যতে এমনটা হলে আমি হাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।