রাজধানীর বনানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নার্সিং কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম নূরে আলম সিদ্দিক (১৯)। তিনি টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। নূরে আলমের ভগ্নিপতি ফরহাদ হোসেন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নূরে আলমের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। সেখানে রেললাইনের একটি ছবি যুক্ত করে লেখা ছিল, ‘অনেক ভেবেছি… মৃত্যু… এর চেয়ে ভালো সমাধান হয়তো আর নেই…।’ তবে, কেন এই স্ট্যাটাস, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
ফরহাদ হোসেনের ভাষ্য, তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্যামলীতে থাকেন। নূরে আলম থাকেন গাজীপুরের টঙ্গীতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নূরে আলম তাঁদের (বোনের) বাসায় আসছেন বলে বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে টঙ্গী থেকে রওনা দেন। সন্ধ্যায় বোন জেসমিন নাহারকে (ফরহাদের স্ত্রী) ফোন করে নূরে আলম বলেছিলেন, ঘুরতে বের হয়েছেন। রাতে তাঁর সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন। তার পর থেকে আর তাঁর সঙ্গে পরিবারের কেউ যোগাযোগ করতে পারেননি।
নূরে আলমের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার বদলগাছীতে। তাঁর বাবার নাম আমিনুল ইসলাম। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছোট।
ঢাকা রেলওয়ে থানার বিমানবন্দর ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে কমলাপুরগামী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নূরে আলম। তাঁর লাশ উদ্ধারের পর আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।