ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা গ্রামের রেনুকা খাতুন নামের এক নারীর সাথে মোবাইল ফোনে প্রতারণার মধ্যমে নগদ টাকা ও স্বর্ণালাংকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জ্বীনের বাদশা চক্রের ৪ সদস্যকে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম। সেসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার। গ্রেতারকৃতরা হলেন, গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের মিন্টু পদ্দারের ছেলে রায়হান হোসেন(২৫) ও তুহিন হোসেন(২০), একই গ্রামের আজল হকের ছেলে জিয়াউর রহমান(২২) ও শাকপালা গ্রামের নারায়ন দাসের ছেলে মিলন দাস(৩৫)। পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে রেনুকা খাতুনকে মোবাইলে কল দেয় ওই প্রতারক চক্র। রেনুকার বাড়ির পাশের পুকুরে ৭ কলস স্বর্ণ রাখা আছে, সেটা পেতে হলে জায়নামাজ ক্রয়ের জন্য হাদিয়া স্বরূপ ৫৬০ টাকা দাবী করে। রেনুকা খাতুন নগদ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা দেয়। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে হাতিয়ে দেয় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৬ লাখ টাকা। প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারী গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন সেল বিকাশ ও নগদ একাউন্টের সুত্র ধরে প্রতারকদের চিহ্নিত করে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের দুর্গম এলাকা থেকে ওই ৪ জনকে গ্রেফতার করে। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।