কাজের চাপ, দুশ্চিন্তা, কর্মব্যস্ততার জাঁতাকলে রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি এমন হয়ে ওঠে যে, ভিতরের বিপদ বাইরে থেকে আঁচ করা সম্ভব হয় না। হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। বেলাগাম জীবনযাপনও উচ্চ রক্তচাপের নেপথ্য কারণ হিসাবে ইদানীং উঠে আসছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়তে থাকে। তবে বর্তমানে কমবয়সিদের মধ্যেও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজকার জীবনযাপনে কিছু বদল আনা উচিত।
মদ্যপান এড়িয়ে চলুন: মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাস রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ ছাড়া, মদ্যপান করার ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও থেকে যায়। তাই মদ্যপান করলে হলে তা যেন পরিমিত হয়। এতে রক্তচাপের মাত্রা স্থিতিশীল ও বজায় থাকবে।
ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ। সবুজ শাকসবজি, ডার্ক চকোলেট, কলা, মুসুর ডাল হলো ম্যাগনেসিয়ামের উৎস।
ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপানের অভ্যাস রক্তচাপের সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলেতে পারে। সিগারেটে উপস্থিত রাসায়নিক পদার্থ ধমনীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং জমতে থাকে। এটি রক্তপ্রবাহকে ব্যাহত করে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। হৃদ্স্পন্দন বাড়িয়ে তোলে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। নিয়মিত ব্যায়াম করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে রক্তচাপের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। এ ছাড়াও শরীরচর্চা করার ফলে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছায়। শরীরচর্চা করা মানে কিন্তু শুধু নিয়ম মেনে ব্যায়াম করা নয়। কেউ চাইলে নাচ করতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, সাইকেল চালাতে পারেন।
লবন খাওয়া বন্ধ করুন: উচ্চ রক্তচাপের জন্য লবন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। লবন শরীরে পানি তৈরি করে। শরীরে অতিরিক্ত পানি রক্তনালীতে চাপ বাড়ায়। লবনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম। যা রক্তচাপ বাড়ানোর পাশাপাশি কিডনির গোলযোগ, ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যাকেও বাড়িয়ে তোলে। সূত্র: আনন্দবাজার