২৮৮ নং থাকা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন দেশ সেরার তালিকায় স্থান পেয়েছে। চিকিৎসা সেবার মান ভাল হওয়া অবহেলিত এ উপজেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা, দিনাজপুর ও নওগাঁ জেলার রোগিরার সেবা নিতে এই হাসপাতালটিতে ভর্তি হচ্ছে। এটি সম্ভব হয়েছে গত ৮ মাস আগে যোগদান করা ডাঃ সোলাইমান মেহেদীর তত্ত্বাবধানে। কিছুদিন আগেও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল সংকট, জরুরী চিকিৎসা সেবার সরঞ্জামাদি গুলো ছিল অকেজো। জরাজীর্ণ ভবনে মানসম্মত চিকিৎসা সেবার না পাওয়ায় মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩ কিঃমি পূর্বে মহীপুরে অবস্থিত হাসপাতালটিতে জোড়াতালি দিয়ে চলত চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম। লোকবল ও সরঞ্জামাদির অভাবে চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হওয়াই নানা মহলে হাসপাতালটির সরকারী সেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এমনি পরিস্থিতিতে ২০২১সালের আগস্ট মাসে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে যোগাদান করেন ডাঃ সোলায়মান হাসান মেহেদী। তিঁনি এসেই রোগীদের সু-চিকিৎসায় হাসপাতালটি আধুনিকায়নে জরাজীর্ণ ভবন সংস্কার, ডায়েবেটিস ওয়ার্ড, প্যাথোলজি এক্স-রে মেশিনসহ চালু করেন সব ধরণের অপারেশন। চালু হয় গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলেভারী কার্যক্রম। হাসপাতালটিতে সব ধরনের সেবা পাওয়ায় দিন দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে মাত্র ৮ মাসের মধ্যে হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন ও সার্বিক বিষয় জড়ীপে দেশের ৪৮২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে সমান (৭৬.৬৪) নম্বর পেয়ে ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে প্রথম স্থান অর্জন করে। এ সাফল্যে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও অফিস কর্মচারী সবাই খুশি। হাসপাতালের রেজিষ্টারে দেখাযায়, বিভিন্ন কারনে ও চিকিৎসা সেবার অভাবে পূর্বে যেখানে গড়ে প্রতিদিন ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ থেকে ১০ জন রোগী ভর্তি থাকত। জরুরী ও বহিঃবিভাগে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২’শ রোগী প্রাথমিক সেবা নিত। চিকিৎসাক ও প্রয়োজনীয় ঔষধ না পেয়ে অনেক রোগীই অন্যত্র চলে যেত। এখন হাসপাতালের জরুরী, বহিঃবিভাগ ও ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বাহির থেকে কোন প্রকার ঔষধ কিনতে হয়না। রোগীদের চিকিৎসার জন্য এখন হাসপাতাল থেকেই সকল প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও ঔষধপত্র দেওয়া হয়। এসব কারনে এখন গড়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৪০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে। জরুরী ও বহিঃবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪/৫’শ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসে। সেবা নিতে আসা পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার মঙ্গলবাড়ী এলাকার বিলকিস বেগম বলেন, পায়ের গোড়ালী ভেঙ্গে যাওয়ায় জয়পুরহাট সদরে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে ভাল না হওয়া ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য যাই। সেখানে একজনের পরামর্শে এহাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন আমার পায়ের সমস্যাটি ভাল হয়েছে।