স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের দিনগুলো সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।স্বাধীন বাংলাদেশের মধ্যে স্বাধীনতার অবদান অনস্বীকার্য। স্বাধীনতার মহান স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে মিশে আছে পদ্মা মেঘনা ও যমুনার স্রোতধারা। আর একথা গুলো বলেন আজকের অনুষ্ঠানের সন্মানিত সভাপতি মোঃ জাহিদুল হক উজ্জ্বল। তিনি আরও বলেন আজকের অনুষ্ঠানে আমরা সকলেই প্রতিজ্ঞা করি, আমি সহ আমরা সকলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য সদা জাগ্রত থাকবো উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখার জন্য। পাশাপাশি আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুর রব সিকদার তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার মাসে আমারা সকলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে কাজকর্ম করার প্রতিজ্ঞা করি। আমিও আমার গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে মহান নেতার নীতি ও আদর্শ অনুকরণ করব ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান জাতির পিতার ঋণ শোধ করতে সক্ষম হবে না, বাঙ্গালী জাতি। একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে মোরা যুদ্ধ করি” আর সেই শ্লোগান কে সামনে রেখে স্বাধীনতা মাসে সন্মান স্বরূপ বীর শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজকের স্বাধীনতা। স্বরূপকাঠী উপজেলার মধ্যে গুয়ারেখা ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী রাজবাডী ডিগ্রি কলেজে আয়োজন করেন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান। বসন্তের কোকিলের কন্ঠের মত একঝাঁক কলেজ পড়ুয়া বালিকাদের সুরের মূর্ছনায় উদ্ভাবনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। পরিপাটি পরিবেশ বজায় রেখে করোনার কঠিন দুঃসময়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আজকের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বরূপকাঠি উপজেলার আর্শীবাদ এবং গুয়ারেখা ইউনিয়নের বর্তমান সম্পদ বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও চমৎকার সমাজ সেবক আলহাজ্ব মোঃ জাহিদুল হক (উজ্জ্বল)। অনুষ্ঠানকে অলংকৃত করার নিমিত্তে সাদা মনের মানুষ হিসেবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছে আপন মহিমায়। সেই আলোকে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের সুপ্রিয় শ্রদ্ধার পাত্র কলেজ গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতিকে পেয়ে সকলেই দারুণ মুগ্ধ।পাশাপাশি আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি আসনে গ্রহণের পর পরই আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুয়ারেখা ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের প্রিয় নেতা, গুয়ারেখা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুর রব সিকদার। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোসাঃ রহিমা বেগম। কোমল মতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে আবদুল্লাহ আল জুবায়ের, মোঃ সিরাজ, অর্ণব সিংহ প্রমুখ। এদিকে বসন্তের মাসে গান না হলেই জমে না আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কলেজ অডিটোরিয়াম কক্ষে সুরের মূর্ছনায় তাক লাগিয়ে দেন রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক বাবু তড়িৎ কুমার ঘরামী। অনুষ্ঠানে সভাপতি, প্রধান অতিথি সহ সকল মেহমান ও শিক্ষার্থীদের মুগ্ধ করে। গান শেষ হতে না হতেই শুরু হয় কবিতার পঙক্তি মাখা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সময়োপযোগী কবিতা পাঠ। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন,নূপুর আক্তার, সজল মিস্ত্রী, রিয়া আক্তার, মলয় ঘরামি, বাঁধন মজুমদার, তন্ময় মৃধা সহ সহকারী অধ্যাপক বাংলা বিভাগের বিজলী হালদার প্রমূখ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানর এক পর্যায়ে বিশেষ সঙ্গিত পরিবেশন করেন অত্র এলাকার সন্তান গানের সুরেলা কন্ঠীর অধিকারীনি মন্দিরা মন্ডল সহ অত্র কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দোলা মন্ডল প্রমুখ। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাবু নিত্যা নন্দন মৃধা সহ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ নজরুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাবু দীপঙ্কর মজুমদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ শাহ আলম শেখ, সাবেক বিদুৎ সাহী সদস্য মোঃ মজিবুর রহমান হাওলাদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলা সভাপতি কানন বালা,পিরোজপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর মোঃ মনিউল হাসান, গভর্নিং বড়ির সাবেক সদস্য ও সভাপতি উপজেলা প্রাইমারী শিক্ষক সমিতির শ্রী অপূর্ব মন্ডল, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম পান্নু, রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের প্রাত্তন ছাত্র মোঃ মুছিবুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ ফজলুল হক ও ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক বাবু তড়িৎ ঘরামী। সর্বশেষ তথ্য মতে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক ও রাজনৈতিক নেতা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মিন্টু ফকির সহ স্থানীয় বহু অভিভাবক সহ, শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সহ এলাকার বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্ধ উপস্থি ছিলেন। জেলা ও উপজেলার বহু গনমাধ্যম কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।