মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

অ্যাপলের লোগো রহস্য

আইটি ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২

আধ খাওয়া আপেল কেন অ্যাপলের লোগো। বেশ বিখ্যাত এই লোগোটি। অ্যাপল বরাবরই তার প্রিমিয়াম সেগমেন্টের পণ্যের জন্য জনপ্রিয়। অ্যাপলের আইফোন মানেই এক আভিজাত্যের ছোঁয়া। কম দামের পণ্য এই সংস্থার থেকে আশাই করা যায় না।
এর অন্যতম কারণ হলো, গ্রাহকের অভিজ্ঞতায় কখনো আপোস করতে চায় না কুপার্টিনোর কোম্পানিটি। ইদানিং আবার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের তথ্য নিরাপত্তা নিয়েও একটা ভয় কাজ করে। সেই দিকটাও মাথায় রেখে অ্যাপল তার ফোন থেকে শুরু করে ম্যাকবুক সবেতেই গ্রাহকের তথ্য নিরাপত্তার দিকটা নিশ্চিত করে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নিজেদের পোক্ত অবস্থান ধরে রেখে কোম্পানিটি। তবে এতকিছুর পরও গ্রাহকদের কৌতূহল অ্যাপলের লোগোতে। কেন এত জনপ্রিয় কোম্পানিটির লোগো একটি আধ খাওয়া আপেল।
অ্যাপলের বিভিন্ন প্রডাক্টে যেমনটা দেখা যায়, তেমন একটি হাফ-খাওয়া আপেলই হলো স্টিভ জবসের সংস্থার লোগো। তবে শুরু থেকেই কিন্তু এই লোগো ছিল না। ১৯৭৬ সালে এই টেক জায়ান্টটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন তার লোগো ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। প্রায় ৪৬ বছর আগে শুরুর লগ্নে অ্যাপলের লোগোতে ছিল, একটি আপেল গাছের নিচে বসে আছেন স্যার আইজ্যাক নিউটন। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে ওই আধ-খাওয়া আপেলের লোগোটির ডিজাইন করেন জনপ্রিয় ডিজাইনার রব জ্যানফ। প্রাথমিকভাবে সেই আধ-খাওয়া অ্যাপলের লোগোটি ছিল রংধনুর রঙের।
তবে পরে সেই লোগো কীভাবে পরিবর্তন হলো এবং কেনই বা এমন ধরনের লোগো এলো জনপ্রিয় এই টেক জায়ান্টে চলুন জেনে নেওয়া যাক- ডিজাইনার রব জ্যানফের একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, এমন একটা আধ-খাওয়া আপেল দেওয়ার অর্থ ছিল স্কেল ডেমনস্ট্রেট করা। অর্থাৎ, এটি যে আপেল টমেটো বা চেরি নয়, মানুষ যেন একবার দেখেই বুঝতে পারেন। পাশাপাশি এই লোগো দেওয়ার পিছনে ছিল আরও একটি কারণ। রব জ্যানফ বলেছিলেন, একটা আপেল যেমন সবাই কিনতে পারেন এবং কামড়ও দিতে পারেন। এই বার্তা বিশ্বের সব মানুষের কাছে একটা আধ-খাওয়া লোগোর মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া ছিল তার ও স্টিভ জবসের আরও একটা উদ্দেশ্য।
তবে শুধু অ্যাপল নয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন টেক সংস্থা তাদের লোগো নিয়ে একাধিক পরিবর্তন করেছে। যদিও মূল লোগো একই রাখা হয়েছে । তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সামান্য কিছু পরিবর্তনও করা হয়েছে। অ্যাপেলের প্রথম লোগোটি রংধনু রঙা হলেও তার ক্রম কিন্তু ‘বেনীআসহকলা’ (বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল) আকারে রাখা হয়নি। অর্থাৎ রংধনুর ক্ষেত্রে পরপর যে রংগুলো দেখা যায়, অ্যাপল লোগো প্রাথমিকভাবে রঙের ক্রমান্বয় ওলটপালট করা হয়েছিল। পাতা উপরের দিকে থাকার ফলে লোগোতে সবুজ রং প্রথমে ছিল। পরে ১৯৯৮ সালে অ্যাপল লোগোর একটাই রং রাখা হয়। নীল, ধূসর বিভিন্ন এক রঙা হতে হতে অ্যাপল লোগোর রং এখন কালো।
তবে অনেকেই দাবি করে থাকেন যে, অ্যাপল লোগোতে একটা আপেলে কামড়ের মাধ্যমে কম্পিউটার উৎসাহীদের জন্য একটা হাইপ তৈরি করা যে, এই সংস্থাটি কম্পিউটিং এবং টেলিকমিউনিকেশন সেগমেন্টের ডেটার একটি ইউনিট। যদিও এই তত্ত্ব অ্যাপল লোগো তৈরি করার সময় রব জ্যানফ ও স্টিভ জবস কতখানি মাথায় রেখেছিলেন তার সত্যতা এখনও বিচার্যের বিষয়। সূত্র: দ্য ডিজাইনেস্ট নেট




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com