গাজীপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। রোববার সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নম্মানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন দক্ষিণগাঁও এলাকার মৃত আলম হোসেনের ছেলে নাঈম (১৮), একই গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে ফারুক (২৬) ও হিরণ মিয়ার ছেলে রবিন (১৫) তবে পুলিশ রবিন নিহতের সত্যতা দুপুর পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি। এ ঘটনায় আহত ইসমাইলের ছেলে হৃদয় এবং অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একজন নারীকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এসময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নাঈম, ফারুক ও রবিন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক নাঈম ও ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় রবিনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক রবিনকে মৃত ঘোষণা করেন। কাপাসিয়া থানার ওসি এএসএম নাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নাঈম ও ফারুক মনোহরদী হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। রবিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় বলে শুনেছি। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
এদিকে অপর এক খবরে প্রকাশ,টাঙ্গাইলের সখীপুরে খোকন মিয়া (৩৫) নামে সৌদী ফেরত এক স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে পালিয়ে গেছে তার স্ত্রী রুপা আক্তার (২৬)। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা নিয়ে গেছেন স্ত্রী। গত শনিবার ভোরে সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর নয়াপাড়ায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় খোকনকে প্রথমে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে আগে থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ ছিল। রুপা আক্তার স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের টিচার। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এই কলহের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে খোকন মিয়ার বাবা রুপা আক্তার ও তার বাবা-মাকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তদন্ত শেষে জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা। বর্তমানে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় সাত বছর আগে উপজেলার দাড়িয়াপুর নয়াপাড়া গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে খোকনের সাথে একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে রুপা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। মাস খানেক আগে খোকন সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। এরপর থেকেই টাকা-পয়সার হিসাব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। শনিবার ভোরে খোকনের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘরে গিয়ে দেখেন খোকনের পুরুষাঙ্গ কাটা। ততক্ষণে পালিয়ে যান রুপা আক্তার। খোকনের পরিবারের অভিযোগ, পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি খোকনের পাসপোর্ট, আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও কয়েক লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় খোকনকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা দ্রুত তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।