নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৩নং রসূলপুর ইউপির রফিকপুর গ্রামে আনোয়ার গং অরফে টেগ্রা আনোয়ার এর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এলাকাবাসী, ভোক্তভোগী পরিবার ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দির্র্ঘ্য দিন থেকে আনোয়ার এলাকার নিরীহ মানুষের সাথে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে সরকারী খাল ভরাট করে জমি দখল ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে, তার জায়গা ভরাট করে। তার পাশ্ববর্তী জায়গার মালিক সাইফুল গংদের মরহুম অলি উল্ল্যাহ স্ত্রী ছকিনা বেগম থেকে খরিদকৃত ১১.৫০ ডিং জায়গায় বার বার দখল করার চেষ্টা অভিযোগ পাওয়া যায়। এবিষয়ে স্থানীয় সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল আমিন ও বর্তমান মেম্বার নাছিরসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বার বার আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে ভূমি লোভী টেগ্রা আনোয়ার কে এলাকার শালীশদারগণ সাইফুল গংদের ক্রয়কৃত জায়গা যার দাগ নং-১১২৭ ও জমা খারিজ নং ৩৭২০/২১-২২ আনোয়ার গংকে ৩৭ ফুট জায়গার মধ্যে ১১ ফুট জায়গা রেখে বাকি গুলো দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু টেগরা আনোয়ার তা মানার কথা বলে ঢাকা চলে যায়। আবার কিছু দিন পরে এসে সাইফুল গংদের জায়গা জোর পূর্বক দখলে চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে সে না পেরে ভূমি লোভী টেগরা আনোয়ার জায়গা পালাবদল করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সাইফুল গংদের জায়গা পাকা রোড়ের পাশে ভরাট করা জায়গা হওয়ায় বর্তমান বাজার মূল্য অনেক বেশি। কিন্তু আনোয়ার উক্ত জায়গার পরিবর্তে রাস্তাবিহীন জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দিলে সাইফুল গং তা মানতে আপত্তি জানান। পরবর্তীতে টেগরা আনোয়ার গং জায়গা ক্রয় করার প্রস্তাব দিলে বাজার মূল্য চাইলে সে তাতে রাজি না হয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছাড়ার হুমকি ধমকি প্রদান করে বলে তারা সাংবাদিকদের জানায়। এর পর থেকে আনোয়ার সাইফুল গংদের ওপরে শুরু করে নানা ভাবে নির্যাতন। সম্প্রতি গত ২৮ ফেব্রুয়ারী,২২ ইং তারিখে বিরোধীয় জায়গায় দেওয়াল নির্মাণ করার চেষ্টা করলে সাইফুল গংরা ও এলাকার সচেতন মহল আপোষ মিমাংসা ছাড়া দেওয়াল নির্মাণ করতে বাধা দেয়। টেগরা আনোয়ার দেওয়াল নির্মাণ বন্ধ করে তার ৮০ বছর বয়সের বাবা মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী আবদুল মালেককে বাসায় ঢুকিয়ে পুরাতন একটি পাঞ্জাবি চিড়ে মাটি লাগিয়ে থানায় নিয়ে সাইফুল গং এর পরিবারের স্কুল পড়–য়া ছাত্রীসহ ৫ জনকে একটি মামলা দায়ের করেন। পরদিন বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে মামলা অসত্য মনে করে আদালত প্রথম দিন ৫ জনকেই জামিন দেয়। পরদিন সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী আলী আহম্মদ, মনু মিয়া, রহমত উল্যাহ, বিবি ছকিনা, তাসলিমা আক্তার জানায়, এবিষয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি ছাড়া কোন ঠেলা, ধাক্কা ধাক্কির ঘটনাও ঘটেনি। তার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করার চেষ্টা করছে। হঠাৎ টেগ্রা আনোয়ার রবিবার সকালে হাজিপুর, গণিপুর ও করিমপুর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাড়াটিয়া প্রায় অর্ধ শাতাধিক সন্ত্রাসীদেরকে দাড় করিয়ে বিরোধীয় ভূমিতে দেওয়াল নির্মাণের চেষ্টা করলে মাননীয় পুলিশ সুপার টেলিফোনে ও বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি তাৎক্ষনিক এস.আই এছাক কে ঘটনাস্থলে এসে সন্ত্রাসীদেরকে দাওয়া করে বিরোধীয় ভূমিতে দেওয়াল নির্মাণ না করার জন্য মৌখিক ভাবে নির্দেশ দেন এবং সন্ধ্যায় উভয় পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলে। কিন্তু এস.আই এছাক আসার ১ ঘন্টা পর কাজ শুরু করলে সাইফুল গং এর বোন বিবি আয়েশা, রাবেয়া আক্তার (স্কুল ছাত্রী), তামান্না আক্তার, বিবি হাওয়া কে আনোয়ার এবং তার বাহিনী তাদের ওপর আক্রমন চালায়, তার বড়ভাই মোস্তফা তাদের আত্ম চিৎকার শুনে তাদেরকে রক্ষা করতে চেষ্টা করলে তাকে বেদম মারধর করে মাথা সহ বিভিন্ন জায়গায় আগাত করে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় ৫ জনই বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করে। এবিষয়ে রাবেয়া আক্তার বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় টেগ্রা আনোয়ার সহ আসামী এবং ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত করে অভিযোগ দায়ের করে। বাদী পক্ষ আরো জানায় তাদের অভিযোগ গ্রহণ না করে তাদের বিরোদ্ধে পুনঃ মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সংবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। উক্ত ভূমি লোভী ও হামলাকারীদেরকে আইনের মুখোমুখি করার জন্য মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।