কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার প্রবাহমান ঈদগাঁও নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। নদীর দুই পাড়ে চলছে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিযোগীতা। ক্রমান্বয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে দখলদাররা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী প্রবাহমান ঈদগাও নদী রামু উপজেলার ঈদগড থেকে ঈদগাও-ইসলামাবাদ-জালালাবাদ হয়ে পোকখালী অতিক্রম করে মহেশখালী চ্যানেলে সংযুক্ত হয়েছে। এ ঈদগাও নদীর উপর সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষি, ক্ষেতখামার, লবনচাষ, মৎসসহ এলাকার লোকজনের জীবন জিবীকা নির্ভর করে। এ নদী কেন্দ্রীক গড়ে উঠে ঈদগড় ও ঈদগাঁও বাজার। সড়ক ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পূর্বে ঈদগড়-বাইশারীসহ পার্বত্য এলাকার ব্যবসা বাণিজ্য ও যাতায়াত এ নদীর উপর নির্ভরশীল ছিল। সম্প্রতি এ ঈদগাঁও নদী দখল ও দূষণের কবলে। ঈদগাও বাসষ্টেশন, বাসঘাটা, ভোমরিয়াঘোনা, পালপাড়া, বাজার এলাকা, হিন্দু পাড়া, চরপাড়া, রাবার ড্যাম এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে স্থাপনা নির্মাণ করে নদী দখলের প্রতিযোগিতা। অন্যদিকে ঈদগাও বাসষ্টেশন, বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল রেষ্টুরেন্ট ও হাসপাতালের ময়লা আবর্জনা ফেলে নদীর পানি দুষিত করছে। ক্রমান্নয়ে এই ঈদগাও নদী দখল ও দূষণের কারণে বিলুপ্তির পথে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের ঈদগাও উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক রেজাউল করিমের সাথে কথা হলে দখল ও দূষণের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঈদগাও নদীর সাথে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকা উৎপ্রোতভাবে জড়িত। এক সময় এ নদী মৎস্যভান্ডারে ভরপুর ছিল, কিন্তু বর্তমানে নদীর এ দুরাবস্থায় এলাকাবাসী চরম হতাশাগ্রস্থ। ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী হাসান তারেক জানান, বিশেষ করে ঈদগাও পালপাড়া থেকে রাবার ড্যাম এলাকায় আশংকাজনক হারে নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে নদী রক্ষা করা যাবে। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের এই ০৩৪১-৬২২৩২ নাম্বারে বার বার রিং দিয়ে ও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এলাকার লোকজন জানান, এ বিষয়ে আমরা অনেক সময় অনেক বার পরিবেশ অধিদপ্তরে জানিয়েছি কাজের কাজ কিছুই হয়নি চলছে পুরোদমে নদী দখল। সচেতন মহল উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নদী রক্ষায়। অন্যথায় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান।