এবারের অমর একুশে বইমেলা শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। শুরু হয়েছিল ১৩ দিনের জন্য, কিন্তু পরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তা বাড়িয়ে ১৭ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। সে হিসেবে আর দুদিন পরই শেষ হচ্ছে এবারের মেলা। গত দুই বছর অনেকটা হতাশায় কাটলেও এবারের মেলা শুরুর দিন থেকেই জমে ওঠে। তবে শেষ সপ্তাহের ছুটির দিনের পর থেকেই ফাঁকা হতে থাকে মেলাপ্রাঙ্গন। যে প্যাভেলিয়নগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকত সেগুলোতে অল্প-স্বল্প পাঠক দেখা গেলেও প্রান্তিক স্টলগুলো ছিল একদম ফাঁকা। বিক্রিয়কর্মীরা কাটাচ্ছেন অলস সময়, কেউবা নিজেদের মধ্যে গল্প-গুজব করছেন। আর আগত দর্শনার্থীদের অনেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লেকের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আবার কেউ আড্ডা দিচ্ছেন খাবারের দোকানে। মেলার ২৮তম দিন সোমবার ১৪ মার্চ মেলা ঘুরে দেখা যায় এমন দৃশ্য। প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, মেলার শেষ দিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী পাঠক সমাগম ও বিক্রি খুবই কম।
তাম্রলিপির মেলার স্টল ম্যানেজার হৃদয় আহমেদ বলেন, মেলায় শেষ দিকে এসে পাঠক সমাগম একদমই কম। তবে গত দুবছরের তুলনায় ভালো। যদিও ২০১৮-১৯ সালে মেলার শেষ দিকে এসে যেমন উপচে পড়া ভিড় হতো তেমনটা নেই। তখন এই সময়ে বিক্রয়কর্মী ও প্রকাশকরা কথা বলার জন্যও সুযোগ পেত না ব্যস্ততার কারণে। এখন মেলায় যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগই এদিক-সেদিক ঘুরছেন।’ অন্যধারা প্রকাশের সত্ত্বাধিকারী মনির হোসেন পিন্টু বলেন, ‘প্রথমত আমরা শিওর ছিলাম না মেলার সময় বাড়বে কিনা! আমরা ১৩ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে মেলা শুরু করেছি। সেই সময়টা আমাদের খুবই ভালো যায়। সময় বাড়লেও আমরা আশঙ্কাগ্রস্ত ছিলাম পাঠক থাকবে কিনা এবং পাঠক সমাগম খুবই ভালো ছিলো। মেলার পড়ন্ত সময়ের হিসেবে কম হলেও পাঠক সমাগম ভালো।’
চিত্রা প্রকাশের বিক্রয়কর্মী প্রমা শর্মা বলেন, মেলার প্রথম সপ্তাহ জমজমাটই চলে। মেলার মাঝের দিকে এসে শুক্র ও শনিবার ছাড়া লোক সমাগম আস্তে আস্তে কম হতে শুরু করে। শেষ দিকে এসে আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী তা অনেকটাই কম। লোকসমাগম কম বলে একেবারেই কম নয়। এখন যারা আসছেন তাদের ভিড় হয়তো খাবারের দোকানে, নয়তো লেকের পাশে। বইমেলায় একদসময় বাড়বে কিনা! আমরা ১৩ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে মেলা শুরু করেছি। সেই সময়টা আমাদের খুবই ভালো যায়। সময় বাড়লেওবেশির ভাগই আড্ডা দিচ্ছেন পরিচিত কবি লেখকের সাথে,,কবি সাদিয়া নাজিবের কবিতার বই অচল পয়সার কিছু খুচরা প্রেম, দোয়েল প্রকাশনী স্টল নং ১২১-১২২ সামনে দেখলাম কয়েকজন তরুন পাঠকের হাতে প্রকাশক বললো ভালই বিক্রি হয়েছে।