রাঙ্গামাটি শহরে ওমদামিয়া হিল খানবাড়ী এলাকায় এক ভায়াবহ অগ্নিকান্ডে অন্তত ২০টি বসতঘর সম্পূর্ন পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৫টার সময় একটি ঘরের রান্নার চুলা থেকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘাটে। প্রথমে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দেড়ঘন্টার বেশী সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকান্ডে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকারও বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার বিকালে একটি বাড়ীর রান্নার চুলা থেকে হঠাৎ আগুনের ফুলকী দেখা যায়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পাহাড়ের খাজে লেকের পাড় ঘেসা বাড়ী ঘর হওয়ায় আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন উপর থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালেও আগুনের লেলিহান শিখা এতো বেশী থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। প্রায় দেড়ঘন্টারও বেশী সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত এলাকায় এতো চিপা গলি যে আমাদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। তার পরও অনেক চেষ্টার পর আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালিয়েছি। অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, আগুনের খবর পেয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছি। অনেক চিপা গলি হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারী সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া জরুরী যে কোন সহায়তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য করা হবে বলে তিনি জানান।