টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতনের পর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুঁড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার একমাত্র আসামী স্বামী আইয়ুব নবীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে উপজেলার ঝাওয়াইল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ২১ এপ্রিল ওই নৃশংস ঘটনার পরই সে পালিয়ে যায়। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে আসামী আইয়ুব নবীকে বুধবার বিকালে ঝাওয়াইল বাজার থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিন সন্তানের জননী শান্তা আকতারকে (৩০) যৌতুকের জন্য স্বামী আইয়ুব নবী প্রায়ই নির্যাতন করতেন। গত ২১ এপ্রিল শান্তা যৌতুকের টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে অমানুষিক মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুঁড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে স্বামী। স্ত্রীর ডাকচিৎকারে পাড়াপড়শিরা এসে তাকে উদ্ধার করে। প্রতিবেশিদের উপস্থিতি টের পেয়ে আইয়ুব পালিয়ে যায়। মুমূর্ষ অবস্থায় তার স্ত্রীকে প্রথমে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সষ্টিটিউটে স্থানান্তরের কথা বলা হয়। কিন্তু ভাইয়েরা খুবই দরিদ্র হওয়ায় ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসার সামর্থ ছিলনা। গোপালপুর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।
শান্তা ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সষ্টিউিটে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান গত ৭ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেসনে চলে যান। তবুও শান্তার চিকিৎসার খরচ চালিয়ে যান। করোনা মুক্ত হয়ে তিনি গত সোমবার কাজে যোগদান করেন।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র