ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দীর্ঘ ১৭ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন শীর্ষ সাংবাদিক নেতা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এবং দৈনিক সংগ্রামের চীফ রিপোর্টার বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজী। গত মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে তিনি মুক্তি পান। এরআগে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বের হয়ে আসার পর জেল গেটে তাকে স্বাগত জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, আত্মীয়-স্বজন এবং সহকমীরা। মুক্তি লাভের পর তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। এছাড়া তার মুক্তি চেয়ে যারা আন্দোলন, বিক্ষোভ, ও সভা-সমাবেশ করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
জেল গেটে তাকে স্বাগত জানান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি শাহীন হাসনাত, ডিইউজে দৈনিক সংগ্রামের ডেপুটি ইনচার্জ ও সিনিয়র রিপোর্টার সামছুল আরেফীন প্রমুখ। সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর তার কর্মস্থল দৈনিক সংগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে রাজধানীর হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এরপর থেকেই কারাগারে ছিলেন তিনি। তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ এ রাখা হয়। ২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল হোসেন রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একটি এফআইআর করেন। সেখানে দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, চীফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজী ও বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসাইনকে আসামী করা হয়। কারাগারে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে নানা অসুস্থায় ভুগ ছিলেন। আগে থেকেই জটিল রোগে আক্রান্ত রুহুল আমিন গাজী কারাগারে থাকাকালে নিয়মিত চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এরআগে সাংবাদিকদের অবিসংবাদিত এই নেতার মুক্তি চেয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ ও মানবন্ধন করেন।