নওগাঁর বদলগাছীতে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আরো ২০জন গুরুত্বর আহত রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, নওগাঁ সদর হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাঁকিদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার শেষ সিমানা পয়নারী এলাকার এই মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে নিহত ২ জন বদলগাছী উপজেলার সুহাসা গ্রামের ইটভাটার শ্রমিক। বাঁকি ২ জন নওগাঁ সদর হাঁসপাতালে মারা যাওয়ায় তাদের পরিচয় রাতে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। বদলগাছী থানার ওসি আতিকুল ইসলাম জানান, জেলার সাপাহার উপজেলা থেকে ওই যাত্রীবাহী বাস নওগাঁর দিকে যাচ্ছিল। পথের মধ্যে ঘটনাস্থল পয়নারী এলাকার পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে একটি দ্রুতগামী ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস ও ট্রাক্টর দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় বাসের দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ৩০ জনের মতো আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, নওগাঁ সদর হাসপাতাল ভর্তি করে দেন। নওগাঁ সদর হাসপাতালে আরো দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাফিউল ইসলাম ইকবাল জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে ২২ নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে দুই জন মারা যান। বাঁকি ২০ জনের মধ্যে ১৫ জনকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে রামেকে রেফার্ট করা হয়েছে। রেফার্টকৃতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওসি আতিকুল ইসলাম আরো জানান, যাত্রীবাহী বাসটিতে বদলগাছী উপজেলার ১৫/২০ জন ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। শ্রমিকরা পতœীতলায় একটি ইটভাটায় কাজ শেষে বাস যোগে রাতে বাড়ী ফিরছিলেন। হতাহতদের পরিচয় রাতে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনায় ট্রাক্টরটি উল্টে রাস্তার নিচে ক্যানেলে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাক্টরের চালক ও সহযোগিরা পালিয়ে গেছেন। ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।