পরিবারের নারী সদস্যদের নিয়ে প্রায়ই মোটরসাইকেল চালান অনেকেই। এখন আবার দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে নারী-পুরুষ উভয়ই বিভিন্ন বাইক রাইডিং অ্যাপসের সাহায্যে বেছে নেন মোটরসাইকেল। যদিও মোটরসাইকেল চালকের পাশাপাশি সহযাত্রীর ক্ষেত্রেও সমান সতর্ক মানা জরুরি, তবে বাইকে নারী সহযাত্রী থাকলে বিশেষ কিছু সতর্কতা অনুসরণ করতে হবে। যা হয়তো অনেকেই জানেন না আবার জানলেও মানেন না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কী কী করণীয়-
সঠিক সিটিং পজিশন: এদেশের অধিকাংশ নারী পিলিয়ন বা সহযাত্রীই বাইকের একপাশে পা দিয়ে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে এটি মোটেও বাইকে বসার সঠিক নিয়ম না। সেক্ষেত্রে মোটরসাইকেল একদিকে বেশি ভার হয়ে থাকে।
ফলে মোটরসাইকেল ব্যালেন্স করা কিছুটা কষ্টকর হয়ে যায়। আপনার বাইকে নারী সহযাত্রী যদি একদিকে পা দিয়ে বসেন, সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে একদিকে যেন বাইক কাত হয়ে না যায়। ফলে ওই নারী সহযাত্রী একটু অসতর্ক হলেই পড়ে যেতে পারেন।
সহযাত্রীকে সতর্ক করুন: বাইকে বসে যাতে হঠাৎ করেই নারী সহযাত্রী নড়াচড়া না করেন, সে বিষয়ে তাকে আগে থেকেই সতর্ক করুন। এক্ষেত্রে বাইকের গতি বেশি থাকলে সহযাত্রীর নড়াচড়ার কারণে যে কোনো মুহূর্তে দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে।
ব্যালেন্স ঠিক রাখুন: যেসব নারী সহযাত্রী বাইকে বসে অভ্যস্ত না, তাদের অনেকেই ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পারেন না। ফলে বাইক যেদিকে একদিকে কাত হলে তারা ভয়ে অন্যদিকে কাত হয়ে গেলে বাইক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
নারী সহযাত্রীর ওড়না বা পোশাক নিয়ে সতর্কতা: নারীদের ওড়না বা শাড়ি অনেক সময় বাইকের চেইন বা চাকায় জড়িয়ে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। তাই নারী সহযাত্রী আপনার বাইকে বসলে অবশ্যই বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন। যদি লং রাইডে যান তাহলে চালক ও সহযাত্রী উভয়েই ভালোমানের সেফটি গিয়ার ব্যবহার করা উচিত।
হেলমেট ব্যবহার: অনেক নারী আছেন যারা ভালো মানের হেলমেট ব্যবহারের চেয়ে টুপি হেলমেট ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। তবে এ জাতীয় হেলমেট কোনো নিরাপত্তা দেয় না। তাই নিজের নিরাপত্তার পাশাপাশি সবসময় সহযাত্রীর নিরাপত্তার দিকেও লক্ষ্য রাখুন।
সূত্র: বাইকবিডি